বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

খেলতে হবে বুদ্ধি খাটিয়ে

মেজবাহ্-উল-হক

খেলতে হবে বুদ্ধি খাটিয়ে

সৌম্য সরকার

টিম বাসেই দুপুরে মাঠে এসেছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু অনুশীলন করেননি। জ্বর জ্বর লাগায় সবার আগেই হোটেলে ফিরেছেন টাইগার ক্যাপ্টেন। সাকিব খেলবেন কি খেলবেন না তা নিয়ে বেশ মুখরোচক আলোচনাও চলল মিডিয়া কর্মীদের মধ্যে গতকাল! ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে দলের সেরা খেলোয়াড় না থাকলে কি হয়?

দল ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে। হারলেই সিরিজ শেষ। এমন এক ম্যাচের আগে সাকিবকে নিয়ে অনিশ্চয়তা! অবশ্য এ নিয়ে বিন্দুমাত্র আতঙ্কিত মনে হয়নি বাংলাদেশকে। বরং দুপুরে অনুশীলনে নেমেই হাস্যরসে মেতে ওঠেন দুই সিনিয়র তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। পরে অন্যরাও যোগ দিয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলন সৌম্য সরকারের কথা শুনে মনে হলো এই ম্যাচ নিয়ে মোটেও চিন্তিত নয় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে বাজেভাবে হার নিয়ে আক্ষেপ আছে বটে। তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলেই জানালেন এই তারকা ব্যাটসম্যান। বরং প্রথম ম্যাচে করা নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে আজ আÍবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ, ‘আমরা সব সময় চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। একটা ম্যাচ হেরে পিছিয়ে আছি আমরা।  চেষ্টা করব খুব ভালোভাবেই সিরিজে ফেরার জন্য। শেষ সিরিজেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে আমরা প্রথম ম্যাচ হেরেছিলাম, পরের দুই ম্যাচে আমরা ভালোভাবে কামব্যাক করেছি। প্রথম ম্যাচে যে ভুল করেছিÑ যেমন দ্রুত কিছু উইকেট পড়েছে, পরের ম্যাচে যদি এমন না হয় তাহলে ভালো হবে।’ সব শেষ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসে ৭ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ, তারপর ফ্লোরিডায় টানা দুই জয়ে সিরিজ নিশ্চিত হয়।

প্রথম টি-২০তে বাংলাদেশ সিলেটে হেরেছিল ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে। ব্যাটসম্যানরা বিলাসী শট খেলতে গিয়ে দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান। শর্ট বলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে বিপদে পড়ে টাইগাররা। তাই সৌম্য মনে করেন, কেবল বড়শট খেললেই হবে না, ক্যারিবীয়দের বিরুদ্ধে ব্যাট চালাতে হবে সাবধানে। বুদ্ধি খাটিয়ে খেলতে হবে। সৌম্য বলেন, ‘আগের ম্যাচে ওরা শর্ট বল করেছে, আমরা দৌড়ে মারতে গেছি। এটা সাহসের ব্যাপার। শর্ট বলের মধ্যেও জোরে বলে মারতে গেছি। আমরা পিছিয়ে গিয়ে আউট হলে বলা যেত যে আমরা শর্ট বলের ভয়ে আউট হয়েছি। সামনে গিয়ে আউট হয়েছি। আমরাও জোরে বল আরও জোরে মারতে গিয়ে আউট হয়েছি। আমরা যদি বুদ্ধি খাটিয়ে প্লেসিং করার চেষ্টা করতাম, টাইমিং করে খেলতাম তাহলে ভালো হতো।’ আজকের ম্যাচ নিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তেমন কোনো আলোচনাই হয়নি। সিলেটের বাজে হার নিয়েই যত কথা। টেস্টে হোয়াইটওয়াশ এবং দাপটের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টি-২০র বাজে হারটি যেন বাংলাদেশকে পোড়াচ্ছে। প্রথম ম্যাচে হারের কারণ এবং আজকের ম্যাচের পরিকল্পনা সম্পর্কে খানিকটা ইঙ্গিত দিলেন সৌম্য, ‘কোনো বুদ্ধির ঘাটতি ছিল হয়তো। আমরা দ্রুত তাদেরকে (ক্যারিবীয় বোলারদের) চার্জ করতে গেছি। আমরা যদি বুদ্ধি খাটিয়ে খেলতাম, পেসারদের প্রথম কিছু ওভার যদি আমরা হ্যান্ডেল করতাম, তাহলে শেষের দিকে আমরা রান আরও কাভার করতে পারতাম। হয়তো উইকেট ছিল না বিধায়, উইকেট আর্লি পড়ে যাওয়ায় মাঝখানে একটু স্লো খেলা লাগছে। তবে পরের ম্যাচে যাতে এমন না হয়। আমরা যারা ফাস্টের দিকে (টপঅর্ডারে) আছি, তারা যদি পাওয়ার প্লে সুন্দরভাবে ইউজ করতে পারি, উইকেটটা হাতে রাখতে পারি, তাহলে শেষের দিকে রান করা সহজ হবে।’ প্রথম ম্যাচে দুই দলের দুই পাওয়ার প্লে-ই ব্যবধান গড়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫৪/৪, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ছিল ৯১/১। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই যাচ্ছেতাই পারফর্ম করেছে টাইাগাররা। তবে ওই ম্যাচ নিয়ে খুব বেশি ভাবতে চান না ক্রিকেটাররা। বরং ওই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে এই ম্যাচেই স্বরূপে ফিরতে চায় বাংলাদেশ। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের মতো টি-২০তেও আধিপত্য বিস্তারের জন্য মরিয়া সাকিবরা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর