চতুর্থ দিনেই উৎসবের মঞ্চ তৈরি রেখেছিল ভারত। উৎসব করতে ফুলের ঢালি সাজিয়ে নিয়েছিলেন বিরাট কোহলিরা। সেই উৎসবে বাদ সেঁধেছিলেন হঠাৎ ব্যাটসম্যান বনে যাওয়া প্যাট কামিন্স। অপেক্ষায় রেখেছিলেন কোহলিদের। পঞ্চমদিনে আবার বৃষ্টির আভাস ছিল। সব মিলিয়ে সন্দেহের দোলাচালে দুলছিল ভারত। গতকাল কোনো হিসাবই হিসাব হয়ে থাকলো না। ম্যাচের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ২৭ বল। ৪.৩ ওভার স্থায়ী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া যোগ করেছে মাত্র ৩ রান। ২ উইকেটে ২৫৮ রানের ইনিংস থমকে যায় ২৬১ রানে। মেলবোর্ন টেস্ট ভারত জিতে যায় ১৩৭ রানে। সব মিলিয়ে ৪ টেস্ট বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে ভারত এখন এগিয়ে ২-১ ব্যবধানে। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমের পর এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দুই টেস্ট জিতল। সেবার পাঁচ ম্যাচ সিরিজে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ৩-২ ব্যবধানে। মেলবোর্ন টেস্ট জিতে কোহলি আবার স্পর্শ করেছেন সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীকে। দেশের বাইরে সর্বোচ্চ ১১টি জিতে এতদিন ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক ছিলেন গাঙ্গুলী। কোহলি এবার তার পাশে নাম লিখলেন। ২০১৪ সালে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হয়ে কোহলি এখন পর্যন্ত ২৪ ম্যাচে জিতেছেন ১১টিতে। সৌরভ জিতেছিলেন ২৮ টেস্টে। বক্সিং ডে টেস্ট জিতে অসাধারণ একটি বছর শেষ করলো ভারত। চলতি বছর পাঁচটি সিরিজ খেলেছেন কোহলিরা। জিতেছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১-০ ও ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ইংল্যান্ডের কাছে ১-৪ ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে ১-২ ব্যবধানে। বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের প্রথম তিন টেস্টের দুটিতে জিতেছে ভারত এবং একটি অস্ট্রেলিয়া। সব মিলিয়ে চলতি বছর ভারতের হারজিত সমান, ৭টি করে জয় এবং হার। অ্যাডিলেড টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। পার্থে সমতা আনে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নে দুই দল নেমেছিল এগিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে। জশপ্রীত বুমরাহ, ঈশান্ত শর্মা ও মোহাম্মদ শামীর ত্রয়ী আক্রমণে বেসামাল হয়ে হার মানে ১৩৭ রানে। আগের দিনের ৮ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে খেলতে নামেন অস্ট্রেলিয়ার দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান কামিন্স ও নাথান লিওন। কিন্তু বুমরাহ ও ঈশান্থের সাঁড়াশি আক্রমণে মাত্র ২৭ বল স্থায়ী ছিল অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। দিনের প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরেন কামিন্স। তার লড়াকু ইনিংসটি ছিল ৬৩ রানের। পরের ওভারে ফিরে যান লিওন। দুই ইনিংসে ৮৬ রানে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন বুমরাহ।