প্রথম ম্যাচে লাসিথ মালিঙ্গার অসাধারণ ইয়র্কারে বোল্ড। সাজঘরে ফেরার আগে রানের খাতা খুলতেই পারেননি তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত রেখেছিলেন দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকায় ব্যক্তিগত ১৯ রানে ফের বোল্ড। তৃতীয় ওয়ানডেতে অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলকে অহেতুক খেলতে যেয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন দেশসেরা বাঁ হাতি ওপেনার। সিরিজের তিন ম্যাচে রান ০, ১৯ ও ২৩। ২০৪ ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতাপুষ্ঠ তামিম ইকবালের নামের পাশে যা বড্ড বেমানান। ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ শ্রীলঙ্কার যেখানে ২টি সেঞ্চুরি এবং ৩টি হাফসেঞ্চুরি, সেখানে তিন ইনিংসে মাত্র ২১ রান, সেটা লজ্জারই! তার উপর দ্বীপরাষ্ট্রের বিপক্ষে দেশসেরা ওপেনারের অধিনায়কত্বের অভিষেক, এমন বাজে সিরিজ শেষে সমালোচনায় জর্জরিত হচ্ছেন তামিম। অনেকেই তার আগাম ভবিষ্যৎও দেখে ফেলছেন। প্রিয় বন্ধুর এমন পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, ফর্মে ফিরতে অবশ্যই তামিমের উচিত বিশ্রাম নেওয়া।
২০০৭ সালে অভিষেক। এরপর থেকে দেশের সেরা ওপেনার। রান করেছেন ৬৮৯২। সেঞ্চুরি ১১ এবং হাফসেঞ্চুরি ৪৭টি। অথচ গত এক বছর ধরে খুব ভালো সময় যাচ্ছে না তামিমের। কঠিন সময় পার করা বাঁ হাতি ওপেনার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে হাফসেঞ্চুরি করেছেন মাত্র একটি। নেতৃত্বের অভিষেক সিরিজে ব্যর্থ হওয়ার পর তামিম প্রসঙ্গে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব বলেন, ‘একজন ক্রিকেটারের বাজে সময় যেতেই পারে। এখন যেমন তামিমের যাচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তার বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। তামিমের উচিত হবে বিশ্রাম নিয়ে শক্তভাবে ফিরে আসা। আমি জানি সে ফিরবেই।’ বিশ্বকাপে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে আলো ছড়ানো সাকিব এখন পুরোপুরি বিশ্রামে। সফর করেননি শ্রীলঙ্কা। আজ পবিত্র হজ পালন করতে মক্কা যাচ্ছেন টেস্ট ও টি-২০ অধিনায়ক। ক্রিকেটারদের বিশ্রাম নেওয়ার বিষয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বলেন. ‘ক্রিকেটারদের বিশ্রাম নেওয়ার বিষয়ে ক্রিকেটার, বোর্ড ও কোচিং স্টাফদের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। একজন ফিট ক্রিকেটারকেই খেলানো উচিত। না হলে পারফরম্যান্সের উপর প্রভাব ফেলবে।’
দ্বীপরাষ্ট্র সফরের প্রথম ম্যাচে ৯১ রানে, দ্বিতীয়টিতে ৭ উইকেটে এবং তৃতীয় ম্যাচে তামিম বাহিনী হেরে যায় ১২২ রানে। ক্রিকেটপ্রেমী ও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সাকিব খেললে সিরিজের ফল এমন হতো না। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এমনটা মনে করেন না, ‘ক্রিকেট এক বলের খেলা। তিন ম্যাচে তিন বলে যদি আউট হয়ে যেতাম, তাহলে দলে কোনো অবদান রাখতে পারতাম না।’