বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দুই ম্যাচে হার ও ১টি ড্র করলেও বাংলাদেশের পারফরম্যান্স সবাইকে মুগ্ধ করছে। ১৪ নভেম্বর মাস্কাটে ওমানের বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচ। ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে জাতীয় দল আরও ভালো খেলতো যদি দলে থাকা এক কর্মকর্তা কোচের কাজে হস্তক্ষেপ না করতেন। বাফুফের নির্বাহী কমিটির এ সদস্য দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আবার একটি বিশেষ দলেরও একই পদে দায়িত্বে আছেন। স্বাভাবিকভাবে তাকে ঘিরে অনেক ক্লাবই আপত্তি তুলে বাফুফেকে জানিয়েছিল তাকে যেন জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে কোচের কথা তোয়াক্কা না করে নিজ ক্লাবের খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে প্রাধান্য দিচ্ছেন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তার আচরণ আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ক্যাম্প চলা অবস্থায় পছন্দের খেলোয়াড়দের হুমকি দিয়ে বলছেন, যদি তার দলে যোগ না দাও জাতীয় দলে সেরা একাদশে সুযোগ পাবে না। জাতীয় দলের অভ্যন্তরে এসব ঘটনা ঘটছে। পেশাদার লিগ কমিটির সভায় একাধিকবার কর্মকর্তাটির বিরুদ্ধে ক্লাব কর্মকর্তারা অভিযোগও করেছেন কিন্তু লাভ হয়নি। নিরূপায় হয়েই শনিবার বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ দেখা করেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে। তারা অভিযোগ তোলেন চুক্তি করার পরও জাতীয় দলের ওই কর্মকর্তা কিংসের খেলোয়াড়দের নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ইমরুলের মতে খেলোয়াড়রা কে কোথায় খেলবেন এটা যার যার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এখানে জাতীয়
দলে থাকা কর্মকর্তাটি প্রভাব খাটান কীভাবে? তাহলে আর নিরপেক্ষতা থাকল কোথায়? ইমরুল জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন। মাসুক মিয়া জনি বড় ধরনের ইনজুরির পরও ফিজিও তাকে ফিট ঘোষণা করে মাঠে নামান কীভাবে?