ক্রিকেটে লক্ষ্য দুই সোনা
দীর্ঘ আট বছর পর এসএ গেমসে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আর ক্রিকেটের নাম আসতেই বাংলাদেশের নামও সামনে চলে এসেছে। ২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হয়। সেবার ছেলেদের ক্রিকেটের ফাইনালে বাংলাদেশ ৬ রানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সোনার পদক জিতেছিল। ২০১০ সালে কেবল ছেলেদের ক্রিকেট ছিল। এবার মেয়েদের ক্রিকেটও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ক্রিকেটের এ দুই ইভেন্টেই সোনা জয়ের আশা বাংলাদেশের। দিন কয়েক আগে এমার্জিং এশিয়া কাপে রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তরা এসএ গেমসের অন্যতম ফেবারিট। জাহানারা, সানজিদা, রীতু মনিরাও ফেবারিট হিসেবেই খেলতে নামবেন এসএ গেমসে।
ফুটবলে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন জামালরা
এসএ গেমসে ছয়বার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দুবার সোনার পদক জয় করেছে। ১৯৯৯ সালে আলফাজরা হারিয়েছিলেন নেপালকে। এরপর ২০১০ সালে আমিনুলরা আফগানিস্তানকে হারিয়ে এসএ গেমসে দ্বিতীয় সোনার পদক জয় করেছিলেন। দীর্ঘদিন পর আবারও বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে। জামাল ভূইয়ারা অসাধারণ ফুটবল খেলছেন প্রতিটা ম্যাচে। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ড্র করেছে। মাঝখানে শোনা গিয়েছিল ভারত ফুটবল খেলবে না এসএ গেমসে। তবে অফিশিয়াল সূচিতে তাদের নাম ঠিকই আছে। জামালরা অবশ্য প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছেন না। এসএ গেমসের সোনা পুনরুদ্ধারে সফল হতে চান তারা।
শুটিংয়ের আশা বাকি-শাকিল
গত এসএ গেমসে শুটিংয়ে সোনার পদক জিতেছিলেন শাকিল আহমেদ। সব মিলিয়ে শুটিং দল পদক জিতেছিল ২২টি। শুটিংয়ে এবারও ভালো করার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ দল। এরই মধ্যে নেপাল চলে গেছে দল। প্রস্তুতি নিয়েছে দারুণ। শাকিলের দাবি, ‘অনুশীলনে ভালো স্কোরিং করেছি ১০ ও ২৫ মিটারে। আশা করি দেশকে ভালো কিছুই উপহার দিতে পারব।’ অন্যদিকে আবদুল্লাহেল বাকিও এবার ভালো কিছু করতে চান। গত দুই এসএ গেমসে তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি অন্যতম সেরা এই শুটার। তবে নেপালে অন্তত ফাইনাল খেলতে চান তিনি। শুটিংয়ের লড়াই শুরু হবে ৩ ডিসেম্বর থেকে।
উশুতে উচ্চাকাক্সক্ষা
ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১১তম গেমসে দুটি সোনার পদক জিতেছিল উশু দল। সেবার অলরাউন্ড ইভেন্টে মেসবাহ উদ্দিন এবং সান্দা ইভেন্টে মাইনাস ৫২ কেজি ওজন শ্রেণিতে ইতি ইসলাম সোনার পদক জিতেন। তবে পরের আসরেই ব্যর্থ হয় দলটা। নেপালে সেই হারানো সোনার পদকই পুনরুদ্ধার করতে চায় উশু দল। সোনাজয়ী মেসবাহ এখন দলের কোচ। গত এসএ গেমসে রহমতউল্লাহ, ফরিদা, মিলন, আনিসুর ও নূর বানু ১টি করে ব্রোঞ্জ জিতেন। এবার পুরনো আর নতুনদের নিয়ে গড়া দল রুপা ও ব্রোঞ্জ তো বটেই, দুটি সোনা জিতবে বলেও আশা করছেন ফেডারেশন কর্তারা।