নভেম্বরে ঢাকায় আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ের প্রীতিম্যাচ হওয়ার কথাছিল। কিন্তু তা কথাতেই সীমাবদ্ধ থেকে গেছে। বেশিদূর আর এগোয়নি।
মূল কারণই ছিল অর্থ। কোনো প্যারাগুয়ের ডিমান্ড আহামরি না হলেও আর্জেন্টিনা যে অর্থ চেয়েছিল তা জোগাড় করা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। এই প্রজেক্ট ভেস্তে যাওয়ার পর ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কথা শোনা যাচ্ছিল। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলই মিডিয়াকে বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর শত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় প্রীতিম্যাচ খেলতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশাটা আরও বেড়ে যায় ম্যানচেস্টার প্রতিনিধিরা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পর্যবেক্ষণ করার পর। তারা ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও বাফুফের সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করেন।
পর্যবেক্ষক দল এখন পর্যন্ত কোনো রিপোর্ট না পাঠালেও ম্যানইউ যে আসছে না তা নিশ্চিতই বলা যায়। দলটিকে আনার ব্যাপারে মূলত দেখাশোনা করছে দুই এজেন্ট অন্তর শোবিচ ও সিএফজি। আর বিষয়টি তদারকি করছেনজাতীয় দলের সাবেক প্রখ্যাত ফুটবলার আবদুল গাফফার।
তিনি পুরোপুরি না বলেননি। বলেছেন, ম্যানইউ নিঃসন্দেহে পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত ক্লাব। তাদের চাহিদা হবেও সেরকম। কিন্তু আমাদের তো সামর্থ্য থাকতে হবে। তারা এক ম্যাচ খেলতে চাচ্ছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। তারপর প্লেন ফেয়ার, থাকা-খাওয়া মিলিয়ে ৩৫ বা ৪০ কোটি টাকা ঠেকবে। এমন অর্থ ব্যয় করাটা অসম্ভবই। তবে একেবারে আশা ছেড়েও দিচ্ছি না। ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলো অফ সিজনে এশিয়া সফরে বেড়ায়। কলকাতায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এলে তখন চেষ্টা করা যেতে পারে। এতে খরচ বেশ কমে যাবে।