রাতেই পাকিস্তানের উদ্দেশে যাত্রা করবে বাংলাদেশ দল। লাহোরে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই থাকবেন ক্রিকেটাররা। পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে দুজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা থাকবেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। পাকিস্তান সফর নিয়ে গতকাল মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ...
পাকিস্তানে খেলতে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে, মানসিকভাবে চাপে থাকবে কিনা?
এই মুহূর্তে আমি একটা কথা বলতে পারি। দলের অন্যান্য সদস্যরা এই ব্যাপারে চিন্তিত নয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে। আমরা শুধু খেলার কথাই চিন্তা করছি। কীভাবে ওখানে গিয়ে ভালো পারফর্ম করতে পারব এবং জিততে পারব- এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত।
সিরিজে বাংলাদেশ কি ‘আন্ডার ডগ’ হিসেবে খেলবে?
আমরা ৯ নম্বরে, ওরা এক নম্বরে। টি-২০তে তারা ধারাবাহিকভাবে খেলে আসছে ওরা। আমার মনে হয় যেভাবে আমরা ক্রিকেট খেলছি, শেষ কয়েকটি সিরিজে আমি খুব আশাবাদী যে ভালো কিছু ম্যাচ আমরা উপহার দিতে পারব। ইনশাআল্লাহ্ আমরা সিরিজ জেতার চেষ্টা করব।
নতুন ক্রিকেটারদের নিয়ে খুশি কিনা?
আমি এই মুহূর্তে খুবই খুশি, যারা স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন তাদের নিয়ে। সবাই খুব ভালো পারফরম্যান্স করেছে এই বিপিএলে। যারা ব্যাটসম্যান ছিল তারা রান পেয়েছে, বোলাররা যারা ছিল ওরা উইকেট পেয়েছে। সব মিলিয়ে আমি খুব আত্মবিশ্বাসী আমার দল নিয়ে।
মুশফিক নেই। তাই তামিম ও আপনার ওপর দায়িত্বটা বেশি থাকবে কিনা?
আমি এবং তামিম- আমরা দুজনই ব্যক্তিগতভাবে ফিল করি যে আমাদের দায়িত্ব বেশি থাকবে। টপ অর্ডারে তামিমের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি কাজে আসবে। ও খুব ভালো ছন্দে আছে, রান করেছে এই বিপিএলে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করব যে আমার দায়িত্ব যেন ভালোভাবে পালন করতে পারি।
মিডিয়ার কাছ থেকে কেমন সমর্থন আশা করেন?
সত্যি কথা বলতে কি, মিডিয়ার বিষয়টি চিন্তা করিনি। আপনাদের সাপোর্টটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের প্রপার ফিডব্যাক অবশ্যই জরুরি।
পাকিস্তানের শেষ সফরটা খুবই বাজে কেটেছে। শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও পাকিস্তানে গিয়ে ৩-০তে সিরিজ জিতেছে। এ জন্য আপনারাও উজ্জীবিত হচ্ছেন?
র্যাঙ্কিংয়ের বিষয়টা আপনি যেটা বললেন, শেষ কয়েকটা সিরিজে পাকিস্তান হয়তো খারাপ করেছে। আমি মনে করি তারা অনেক শক্তিশালী দল টি-২০তে। তাদের ওখানে খেলা। শেষ সিরিজে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হেরেছে তারা। হয়তো এই বিষয়টি নিয়ে কনসার্ন আছে। আমাদের ফোকাস করতে হবে আমরা কতটা ভালো খেলতে পারি।
কোচ বলেছিলেন টি-২০ বিশ্বকাপে আপনাকেই অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান। টি-২০ কাপের প্রস্তুতিটা এই সফর থেকেই শুরু হচ্ছে কিনা?
আমি এখনো জানি না। যেহেতু আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই সিরিজের জন্য। আমি চেষ্টা করব আমার দায়িত্বটা পুরোপুরিভাবে কাজে লাগাতে। যেহেতু সিরিজ বাই সিরিজ অধিনায়কত্বের দায়িত্বটি আসছে। তাই অবশ্যই ওর যদি আমার প্রতি আস্থা থাকে তাহলে ধন্যবাদ এবং আমার মনে হয় রাসেল অনেক অভিজ্ঞ একজন কোচ এবং সে জানে দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারকে কিভাবে সামলাতে হয়।
এই সিরিজে যে কজন সিনিয়র আছেন তাদের বাড়তি ভূমিকা কি থাকবে?
আমি চেষ্টা করব আমার জায়গা থেকে পারফর্ম করার। ওরও চেষ্টা থাকবে ওর জায়গা থেকে পারফর্ম করার। ক্রিকেট একটি দলীয় খেলা আমি সবসময় বিশ্বাস করি। একটি দল হিসেবে যদি আমরা ভালো খেলতে পারি তাহলে আমার মনে হয় যে আমাদের ভালো ফলাফল করার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
আগামী টি-২০ বিশ্বকাপ হবে অস্ট্রেলিয়া। সেটা টার্গেট করেই কি পেসারদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কিনা?
আমার মনে হয় টি-২০তে যদি বিভিন্ন ধরনের পেস বোলার থাকে তাহলে সেটা মনে হয় অনেক বেশি সাহায্য করবে। দলে যারা সুযোগ পেয়েছে, যেমন ধরেন রুবেল। সে এই বিপিএলে দারুণ করেছে। আল-আমিন, সুহাস (শফিউল), মুস্তাফিজ আছেন। আমাদের পেস বোলিংয়ের দারুণ বৈচিত্র্য আছে। এবার আমাদের পেস বোলিং সাইডটা হয়তো অনেক বেশি অভিজ্ঞ এবং আমি তাদের উপর আস্থা রাখব।