ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান এবার শুধু ঢাকার মধ্যে বন্দী থাকেনি। পেশাদার ফুটবল লিগের নতুন হোম ভেন্যু হিসেবে বেছে নিয়েছে কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামকে। আগামীকালই বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে মোহামেডানের মুখোমুখি হওয়ার কথা। মেগা আসর দিয়ে দীর্ঘদিন পর কুমিল্লায় ফুটবল ফিরছে। এর চেয়ে বড় আনন্দের সংবাদ আর কী হতে পারে। ক্রীড়াপ্রেমীদের প্রত্যাশা তো একটাই জেলায় জেলায় ফুটবল ছড়িয়ে পড়া। তবে প্রশ্ন উঠেছে কুমিল্লা ভেন্যুর প্রস্তুতি নিয়ে। কিছুদিন আগে এই মাঠে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়েছে। এতে মাঠ আরও খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাছাড়া ক্রিকেট পিচ ঠিক করতে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। এত তাড়াতাড়ি সব কমপ্লিট তা কতটা বিশ্বাসযোগ্য।
বাফুফে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী তিন দিন আগেও বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, কুমিল্লার মাঠ খেলার অনুপযোগী। অথচ গতকাল তিনি বললেন, আমি নিজে পরিদর্শন করেছি। মাঠ পুরোপুরি উপযোগী। প্রশ্নটা এখানেই এত তাড়াতাড়ি মাঠ ফিট হয়ে গেল কীভাবে? ক্রিকেট পিচে মাটি ঢেলে কমপক্ষে ১০ দিন সময় লাগে ফুটবলের উপযোগী করতে। এমন অনুপযোগী মাঠে তাহলে খেলা হয় কীভাবে?
শুধু বসুন্ধরা কিংস নয়। মোহামেডানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন বাফুফের গাফলতির কারণে কুমিল্লার মাঠ উপযোগী হয়ে উঠেনি। এমনকি তারাও নাকি ৭ মার্চের ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রেখেছিল লিগ কমিটির কাছে। আয়োজকরা যখন চাচ্ছে না তখন লিগ কমিটি পেছাচ্ছে না কেন? তাহলে কি তারা ইচ্ছা করে খেলোয়াড়দের ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। এমন মাঠে ইনজুরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এই দায়-দায়িত্ব কি বাফুফে নেবে। ১১ মার্চ ঢাকায় আবার এএফসি কাপে বসুন্ধরা কিংস লড়বে মালদ্বীপ টিসি স্পোর্টসের বিপক্ষে। কিংস তো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। এখন ইনজুরির কারণে কোনো খেলোয়াড় মাঠে নামতে না পারলে বাংলাদেশ ক্ষতি কিনা লাভ হবে বাফুফে তা কি জানে না? আবাহনীর এএফসি কাপ প্লে-অফ ম্যাচের জন্য লিগ পিছিয়েছে। এখন কুমিল্লায় ম্যাচ খেলতে হবেই বাফুফের এ ভূমিকা সত্যিই রহস্যজনক।লিগ কমিটির সভায় বারবার বলা হয়েছে যারা এএফসি কাপে খেলবে তাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে একি তার নমুনা?