বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সম্ভাব্য সূচি (২০২১)

২০২১ সেপ্টেম্বরে আসবে অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ড

► জানুয়ারি মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসবে বাংলাদেশে
► ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে টাইগাররা
► জুনে জিম্বাবুয়ে সফরে যাবে বাংলাদেশ
► সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড আসবে বাংলাদেশে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

২০২১ সেপ্টেম্বরে আসবে অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ড

করোনা-ভীতিকে পাশ কাটিয়ে মাঠে ফিরেছে ক্রিকেট। টেস্ট সিরিজ খেলছে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্ট খেলার অপেক্ষায় পাকিস্তান। অনুশীলনে ফিরেছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন করছেন মুশফিকুর রহিমসহ ৯ ক্রিকেটার। তবে কভিড-১৯ এর জন্য শুধু খেলাই নয়, আর্থিকভাবেও বিশাল ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের। অভিষেকের পর টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে এবারই প্রথম সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলত টাইগাররা। কিন্তু করোনার জন্য টেস্ট খেলেছে মাত্র দুটি। চলতি বছর ব্যস্ত সময় কাটানোর কথা ছিল মুশফিক, তামিম, মাহমুদুল্লাহদের। এ বছর আর খেলা নেই। তাই হয়তো ক্রিকেট ছাড়াই বছর পার করতে হবে ক্রিকেটারদের। যদি করোনাভাইরাসের মারাত্মক প্রভাব না থাকে, তাহলে ২০২১ সালেও ব্যস্ত সময় পার করবে টাইগাররা। খেলবে একাধিক টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ। আগামী বছরের জানুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেপ্টেম্বরে টি-২০ সিরিজ খেলতে আসবে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড এবং জুনে জিম্বাবুয়ে সফরের পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন, ‘২০২১ সালেও ব্যস্ত সূচি রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের। ঘরে ও বাইরে বেশ কয়েকটি সিরিজ খেলবে। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে টি-২০ সিরিজ খেলতে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড আসবে।’

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা কমছে বিশ্বব্যাপী। তবে স্বাভাবিক হবে কবে, কেউই স্পষ্ট করে বলতে পারছে না। এরই মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ। রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। মেলবোর্নে নতুন করে ছয় সপ্তাহের লকডাউন দেওয়ার পরই আইসিসি চলতি বছরের টি-২০ বিশ্বকাপ স্থগিত করে এক বছর পিছিয়েছে। আইসিসির এই সিদ্ধান্তে শুধু চলতি বছরের টি-২০ বিশ্বকাপই নয়, পিছিয়েছে ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০২৩ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। শুধু টি-২০ বিশ্বকাপই নয়, স্থগিত হয়েছে টি-২০ এশিয়া কাপও। এ দুটি আসর থেকে বড় অঙ্কের অর্থ পেত বাংলাদেশ। এশিয়া কাপ না হলে ৩ মিলিয়ন ডলার বা ২৫ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হবে বিসিবির। টি-২০ বিশ্বকাপ পিছিয়ে গেলেও মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হবে বাংলাদেশের। তবে ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে আলোচনা করে আইসিসি ক্ষতির পরিমাণ কমানোর চেষ্টা করবে বলে জানান বিসিবি সিইও, ‘ক্রিকেট বোর্ডের মূল আয়ই আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টগুলো থেকে। টি-২০ বিশ্বকাপ পেছালেও অবশ্যই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে বোর্ডগুলো। আইসিসি চেষ্টা করছে ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে আলোচনা করে ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনার।’      

করোনাভাইরাসের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি টেস্ট ও ৩টি ওয়ানডে এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি টেস্ট ও দুটি টি-২০ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। খেলার কথা ছিল আরও একটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে। করোনার জন্য বাংলাদেশ সফর স্থগিত করে অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডও স্থগিত করে সফর। বিপরীতে বাংলাদেশ স্থগিত করে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ড সফর। এই না খেলার ধাক্কা সামলে ওঠা কঠিন। তবে পরিস্থিতি মেনে নিয়েছে বিসিবি ও ক্রিকেটাররা। আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশে বাই লেটারাল সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩টি করে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ খেলার কথা। ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও টি-২০, জুনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও টি-২০ খেলার কথা। সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফরে তিনটি করে টি-২০ খেলার কথা অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের।

সর্বশেষ খবর