বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

সাঈদকাণ্ডে হকি হতবাক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শোকজ নোটিসের জবাব নয় উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন মুমিনুল হক সাঈদ। হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়ে জিতে যান তিনি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন হকিকে বদলে দেওয়ার। অথচ সেই সাঈদ সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কোথায় যেন হারিয়ে যান! ১০ মাস ধরে হকিতে তার দেখা নেই। নির্বাহী কমিটির চার সভায় তিনি নেই। ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রে আছে নির্বাহী কমিটির কোনো সদস্য টানা তিন সভায় কারণ ছাড়া অনুপস্থিত থাকলে তাকে শোকজ পাঠানোটা বাধ্যতামূলক।

সাঈদ যেখানে টানা চার সভায় ছিলেন না, গঠনতন্ত্র অমান্য করার পরও কেন তাকে শোকজ পাঠানো হচ্ছিল না এ নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে বিতর্কের ঝড় বইছিল। যাক শেষ পর্যন্ত ১৫ জুলাই সাঈদকে কারণ দর্শানো নোটিস পাঠানো হয়। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠানো হয়। ইউসুফ নির্বাচনে যুগ্ম সম্পাদক পদে সর্বোচ্চ ভোটে জয়ী হন। ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রেই আছে সাধারণ সম্পাদক দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকলে ১ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করবেন। নিয়ম মেনেই ফেডারেশন সভাপতির নির্দেশেই সাঈদকে কারণ দর্শানো নোটিস পাঠান ইউসুফ।

সাঈদকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ২৭ জুলাই পর্যন্ত। শেষ দিনে ফেডারেশনে চিঠি এসেছে। তবে শোকজের জবাবের বদলে ইউসুফকে উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে। সাঈদের আইনজীবী রেফায়েতুল করিমের মাধ্যমে উকিল নোটিস পাঠানো হয়। সাঈদের এমন কান্ডে হতবাক হকি ফেডারেশন। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জানালেন, ‘আমাকে দেওয়া উকিল নোটিস হাতে পেয়েছি। সেখানে বলা হয়েছে যুগ্ম সম্পাদকের কোনো অধিকার নেই সাধারণ সম্পাদককে শোকজ করার। আমি তো আর যুগ্ম সম্পাদক নয় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি হিসেবেই চিঠি পাঠিয়েছি। এতো ফেডারেশনের সবারই জানা। উকিল নোটিসে উল্লেখ রয়েছে আমি নাকি সাঈদকে হটানোর জন্যই এ চিঠি পাঠিয়ে তার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছি। এ এক আজগুবি কথা। যাকে ফেডারেশন খুঁজেই পাচ্ছে না তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করি কীভাবে?’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর