অভিষেকেই পেশাদার লিগ জিতে ফুটবলে দেশের নতুন কিং হয়েছে বসুন্ধরা কিংস। ঘরে তুলেছে স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপ ট্রফিও। লক্ষ্য এবার আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বিজয়ী হয়ে দেশের সুনাম বাড়ানো। সেই মিশনেও নেমে পড়েছে তারা। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন বলেই এএফসি কাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে বসুন্ধরা কিংস। গ্রুপ পর্বের বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপ টিসি স্পোর্টসকে বিধ্বস্ত করে কিংস তাদের সামর্থ্যর কথা জানান দিয়েছে। করোনাভাইরাসে টুর্নামেন্ট স্থগিত হলেও বসুন্ধরার প্রস্তুতি থেমে থাকেনি।
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় কলিনড্রেস, বখতিয়াররা চলে যান। এ নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট চিন্তিত ছিলেন না। তারা আগে থেকেই এএফসি কাপের জন্য বিদেশির সন্ধানে নেমে যায়। আগেই পেয়েছিল আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে খেলা মেসির সতীর্থ বারকোসকে। প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ চার গোল দিয়ে বারকোস ফুল মার্কসই পেয়ে যান। অক্টোবরে এএফসি কাপের নতুন কর্মসূচি ঘোষণার পর তৎপরতা আরও বেড়ে যায় কিংসের। সভাপতি ইমরুল বলেছিলেন অপেক্ষা করুন চমক দেওয়ার মতো ফুটবলারকে পাব? পেয়েছেনও। ঢাকায় এখনো না এলেও কিংসের হয়ে খেলবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের রবসন অ্যাজভেদো দ্য সিলভা রবিনহো। ব্রাজিলের বিখ্যাত ফ্লুমিনেস দল থেকে আসবে। ভিডিও ফুটেজে তাকে দেখে উঁচুমানের ফুটবলারই মনে হচ্ছে। বারকোসের পর রবিনহো। আসার কথা অস্ট্রেলিয়া ও ইরাকের ফুটবলার। মাঠে নামতে এত প্রস্তুতির পরও শঙ্কা কাজ করছে কিংসের ভিতর। শুধুতো চার বিদেশি দিয়ে খেলা হয় না। থাকতে হবে নির্ভরযোগ্য লোকাল তারকা। আর এ নিয়েই তো যত চিন্তা। কেননা জাতীয় দলে ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার আগে ১৮ ফুটবলারের করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে। এদের মধ্যে ৭ জনই কিংসের। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো, বিশ্বনাথ ঘোষ, বিপলু আহমেদ, মাহবুবুর রহমান সুফিল, সুশান্ত ত্রিপুরা, রবিউল হাসান ও মো. ইব্রাহিম। এরা এএফসি কাপে সেরা একাদশে সুযোগ পেতেন নিশ্চিতই বলা যায়। পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় চিন্তিত সভাপতি ইমরুল হাসান। ‘বিষয়টি অবশ্য শঙ্কার। আরও কয়েক দফা টেস্ট হবে। আশা করছি সময়মতো ফিট হয়ে উঠবে। কিন্তু এটাও ভাবতে হবে না হলে খেলাব কাদের।’ ইনজুরিতে আছেন মতিন মিয়া, মাসুক মিয়া জনি ও আতিকুর রহমান ফারহাদ। সব মিলিয়ে ১০ জনের সমস্যা। এ অবস্থায় শুধু ইমরুল কেন চিন্তিত ফুটবলপ্রেমীরাও। কেননা এএফসি কাপে শিরোপার জয়ের যোগ্যতা রাখে কিংস। সামনে কি হবে সেটাই বড় চিন্তা।