অনূর্ধ্ব-২১ এশিয়ান হকির পূর্ব সূচি ছিল চলতি বছরের জুনে। করোনাভাইরাসের জন্য সেটা পিছিয়ে ২০২১ সালে জানুয়ারিতে নির্ধারিত হয়। এর ফলে বয়সজনিত জটিলতায় পড়েছে বাংলাদেশ হকি দল। ঘরের মাঠে টুর্নামেন্ট শুরুর সময় বাংলাদেশের ৯ হকি খেলোয়াড়ের বয়স বেশি হয়ে পড়ায় না খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এতে হতাশার তৈরি হয় বাংলাদেশ শিবিরে। তবে আশার কথা হচ্ছে, এশিয়ান হকি ফেডারেশন (এএইচএফ) আশার বাণী শুনিয়েছে। এএইচএফের হেড অব ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েসন রিলেশন্স এবং ম্যানেজার অ্যান্ড কোচিং ডেভেলপমেন্ট গুলাম গাউস জানিয়েছেন করোনাভাইরাসের জন্য টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন (আইএইচএফ) খেলোয়াড়দের বয়সের বিষয়ে বিশেষ অনুমতি দিয়েছে, ‘খেলোয়াড়দের বয়সের বিষয়ে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন (এফআইএইচ) বিশেষ অনুমতি দিতে যাচ্ছে। তাতে আগামী বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-২১ এশিয়া কাপ হকিতে তারাই খেলতে পারবেন যাদের জন্ম ১৯৯৯ সালের ১ জানুয়ারির পর।’ গুলাম গাউসের এমন মন্তব্যের পরপরই স্বস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ। খেলোয়াড়দের বয়সজনিত সমস্যার কথা জানার পর বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের দুই সহ সভাপতি রশীদ শিকদার ও সাজেদ আকিল আহমেদ যোগাযোগ করেন এএইচএফের সঙ্গে। দুজনেই আবার এএইচএফের সদস্য। তাদের যোগাযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই এমন সুবাতাস পাচ্ছে বাংলাদেশ।