এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন পাঁচ দলের টি-২০ টুর্নামেন্টে। যদিও ব্যাট ও বলের পারফরম্যান্সে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। দীর্ঘদিনের বিরতি শেষে ক্রিকেটে ছন্দে ফিরতে হয়তো সময় লাগবে সাকিবের। সেটা মাথায় থাকলেও বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ আস্থা ফিরে পেয়েছেন সাকিবের ফেরায়। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তলানিতে টাইগারদের পারফরম্যান্সের গ্রাফ ওপরে তুলতে টাইগার অধিনায়ক এখন তাকিয়ে রয়েছেন সাকিবের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের দিকে। মুমিনুল বিশ্বাস করেন, সাকিব ফেরায় গোটা দল আত্মবিশ্বাসী হয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। বিশেষ করে টেস্ট সিরিজে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্স দলকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম জয়ের স্বাদ দেবে বলেই বিশ্বাস ক্রিকেটপ্রেমীদের। তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট ম্যাচ সিরিজ খেলতে ১০ জানুয়ারি ঢাকায় আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশ সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে ফেব্রুয়ারিতে। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল টাইগাররা। অক্টোবরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু কোয়ারেন্টাইন ইস্যু নিয়ে শ্রীলঙ্কান সরকারের শক্ত অবস্থানে শেষ মুহূর্তে সিরিজ স্থগিত করে বিসিবি। ফলে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে মাঠে ফেরা হয়নি মুমিনুলদের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে না পারলেও টাইগার ক্রিকেটাররা ফিরেছেন মাঠে। এবার ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন মুমিনুলরা। ২০১৯ সালের ৫ জুলাইয়ের পর ওয়ানডে খেলবেন সাকিব এবং টেস্ট খেলবেন ১৫ মাস পর। সাকিব সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০১৯ সালের ৫ জুলাই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ম্যাচে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার উইকেটশূন্য থাকলেও ব্যাটিংয়ে করেছিলেন ৬৪ রান। টেস্ট খেলেছিলেন চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। বাংলাদেশ হেরেছিল ২২৪ রানে। টেস্টের দুই ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেও ব্যাটিংয়ে ১১ ও ৪৪ রান করেছিলেন অধিনায়ক সাকিব। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সাকিবকে পেয়ে আত্মবিশ্বাসী টাইগার টেস্ট অধিনায়ক মনে করেন সিরিজে চাপে থাকবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুটি সিরিজ জৈব-সুরক্ষায় খেলেছে। মানসিকভাবে একটু পিছিয়ে থাকবে। কোনো দল সিরিজ হেরে এখানে এলে অবশ্যই আমাদের জন্য সেটা পজিটিভ। তবে এটাও ঠিক ওরা টানা সিরিজ হেরেছে। কিন্তু তারমানে এই নয়, আপনি সহজেই ওদের হারিয়ে দেবেন। ওদের হারাতে সেরাটাই খেলতে হবে। সিরিজের পজিটিভ দিক হচ্ছে, ওরা টানা হারে হতাশ থাকবে।’ করোনাভাইরাসের মধ্যেই ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও জয় দিয়ে শুরু করেছিল ক্রিকেটে ফেরাটা। এরপর টানা চার টেস্ট হেরেছে দলটি।
এ হতাশাকেই কাজে লাগাতে চাইছেন মুমিনুল।দুই দল এখন পর্যন্ত সাতটি টেস্ট সিরিজ খেলেছে। টেস্ট সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সর্বশেষ ঢাকায় এসেছিল ২০১৮-১৯ মৌসুমে। সব মিলিয়ে দুই দল টেস্ট খেলেছে ১৬টি। বাংলাদেশের জয় চারটি এবং হার ১০। ড্র সাকল্যে দুই। ওয়ানডে খেলেছে দুই দল ৩৮টি। বাংলাদেশের জয় ১৫ এবং হার ২১। বাকি দুটি ড্র।
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফিকশ্চার
ম্যাচ তারিখ ভেন্যু
প্রথম ওয়ানডে ২০ জানুয়ারি মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম
দ্বিতীয় ওয়ানডে ২২ জানুয়ারি মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম
তৃতীয় ওয়ানডে ২৫ জানুয়ারি জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম
চার দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ ২৮-৩১ জানুয়ারি এম এ আজিজ স্টেডিয়াম
প্রথম টেস্ট ৩-৭ ফেব্রুয়ারি জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম
দ্বিতীয় টেস্ট ১১-১৫ ফেব্রুয়ারি মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম