টেনিসের আঙিনায় দুজনের কদর খুব বেশি নেই। এজন্যই ফ্রেঞ্চ ওপেনে একজন ৩১তম বাছাই (আনাস্তাসিয়া পাভলিউচেনকোভা)। অন্যজন অবাছাই (বারবারা ক্রেজিকোভা)। মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়েও দুজনের অবস্থান বেশ খানিকটা দূরেই। আনাস্তাসিয়া ৩২ নম্বরে, বারবারা ৩৩ নম্বরে। কিন্তু ফ্রেঞ্চ ওপেনে একের পর এক শীর্ষ বাছাইয়ের পতন ঘটিয়ে এ দুজনই ফাইনালে উঠে এলেন। আজ সন্ধ্যায় মুখোমুখি হচ্ছেন তারা।
এবারের ফাইনালিস্ট দুজনের কেউ কোনো গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনাল দূরে থাক, কোয়ার্টার ফাইনালের বাধাই পাড়ি দিতে পারেননি এর আগে। বারবারার সেরা ফল চতুর্থ রাউন্ড খেলা (২০২০ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন)। আনাস্তাসিয়া ছয়বার গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছেন। দুজনই প্রথমবারের মতো কোনো গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে নামবেন। টানা ষষ্ঠবারের মতো ফ্রেঞ্চ ওপেনে মেয়েদের এককে দেখা যাবে নতুন রানী। ২০১৫ সালে সেরেনা উইলিয়ামসের পর পুরনো চ্যাম্পিয়নরা আর এ ক্লে কোর্ট টুর্নামেন্ট জিততে পারেননি। সেরেনার পর নতুন রানী হয়েছেন গারবিন মুগুরুজা (২০১৬), জেলেনা অস্টাপেঙ্কো (২০১৭), সিমোনা হালেপ (২০১৮), অ্যাশলে বার্টি (২০১৯) ও ইগা সোয়াটেক (২০২০)। ফাইনাল নিয়ে ২৯ বছর বয়সী রাশিয়ার আনাস্তাসিয়া বলেন, ‘আমার জন্য এটা লম্বা একটি রাস্তা। আমি দারুণ আনন্দিত যে ফাইনালে খেলব।’ তিনি মিসকিনা (২০০৪), কুজনেৎসোভা (২০০৯) ও মারিয়া শারাপোভার পর চতুর্থ রাশিয়ান মেয়ে হিসেবে ফ্রেঞ্চ ওপেন জয় করতে পারেন।
চতুর্থ রাশিয়ান মেয়ে হিসেবে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিততে পারেন আনাস্তাসিয়া পাভলিউচেনকোভা। এর আগে আনাস্তাসিয়া মিসকিনা (২০০৪), সভেৎলানা কুজনেৎসোভা (২০০৯) ও মারিয়া শারাপোভা (২০১২ ও ২০১৪) রাশিয়ান মেয়ে হিসেবে ফ্রেঞ্চ ওপেন জয় করেছেন।
দ্বিতীয় চেক মেয়ে হিসেবে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিততে পারেন বারবারা। এর আগে কেবল হানা ম্যান্ডলিকোভা চেক মেয়ে হিসেবে ফ্রেঞ্চ ওপেন জয় করেছেন (১৯৮১)। এরপর লুসি সাফারোভা (২০১৫) ও মারকেটা ভনদ্রোসোভা (২০১৯) চেক মেয়ে হিসেবে ফাইনাল খেললেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি।
টানা ষষ্ঠবারের মতো ফ্রেঞ্চ ওপেনে নতুন চ্যাম্পিয়নের দেখা মিলবে। ২০১৫ সালে সেরেনা উইলিয়ামসের পর আর কোনো পুরনো চ্যাম্পিয়নই ফ্রেঞ্চ ওপেন জিততে পারেননি।