দ্বিতীয় ওয়ানডে শুরুর ঠিক আগে জানা গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের একজনের করোনা পজিটিভ। তাতেই ভেস্তে যায় অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ওয়ানডে। সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচ স্থগিত করে দুদলের ক্রিকেটারদের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তৎক্ষণাৎ করোনা টেস্ট করানো হয় দুদলের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ ও কর্মকর্তাসহ ১৫২ জনের। পরীক্ষায় সবাই নেগেটিভ হলে হাফ ছেড়ে বাঁচে দুদল।
গতকাল দুদল ওয়ানডেও খেলেছে ব্রিজটাউনে। অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচের পর প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরের বাংলাদেশের ক্রিকেটার ও ক্রিকেটপ্রেমীরাও হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন। দুদলের ম্যাচের পর বিসিবিও প্রস্তুতির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে ৫ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের। বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম নিশ্চিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ঢাকা সফরের বিষয়, ‘এখন তো আর কোনো সমস্যা নেই। অস্ট্রেলিয়া টি-২০ সিরিজ খেলতে ঢাকা আসছে, এখন আমরা নিশ্চিত।’ পাঁচ ম্যাচ টি-২০ সিরিজ খেলতে অ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল সরাসারি ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ঢাকায় আসবে ২৯ জুলাই। ৩, ৪, ৬, ৭ ও ৯ আগস্ট ম্যাচগুলো খেলে ঢাকা ছাড়বে ১০ আগস্ট।
অস্ট্রেলিয়া আসবে তারকা ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, প্যাট কামিন্সদের ছাড়া। মাহমুদুল্লাহ বাহিনীর বিপক্ষে নামবে নতুন মুখের দল নিয়ে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে অসিরা টি-২০ সিরিজ হেরেছে ৪-১ ব্যবধানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া এখন পর্যন্ত ৪টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছে এবং বাংলাদেশ হেরেছে সবগুলো। চার ম্যাচের একটি মাত্র ঢাকায় খেলেছে ২০১৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে। টাইগাররা হেরেছিল ৭ উইকেটে। এছাড়া বাকি তিন ম্যাচের সবগুলোই টি-২০ বিশ্বকাপে। ২০০৭ সালে কেপ টাউনে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপে হেরেছিল ৯ উইকেটে, ২০১০ সালে ব্রিজটাউনে ২৭ রানে এবং ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুতে ৩ উইকেটে হেরেছিল। এবারই প্রথম দুদল বাইলেটরাল টি-২০ সিরিজ খেলবে। বিসিবি সিরিজিটি আয়োজনে পুরোপুরি প্রস্তুত বলেন বিসিবি সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন, ‘করোনা পরিস্থিতি সারা বিশ্বেই ভয়াবহ। কখন কি হয়, কেউ জানে না। আমরাও পুরোপুরি নিশ্চিত করে বলতে পারব না, কখন কার কি হয়। তবে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আমরা সিরিজ আয়োজনে পুরোপুরি প্রস্তুত।’অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা ঢাকায় পা রেখেই উঠে যাবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে। সেখানে তিনদিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। তবে তারা নিজেদের মধ্যে অনুশীলন করবেন। অসিরা ঢাকায় আসার আগে বেশকিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে। যার অন্যতম, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কমপক্ষে ১০দিন জৈব বলয় সুরক্ষায় থাকতে হবে। এটা মেনে জিম্বাবুয়ে থেকে ক্রিকেটাররা ঢাকায় পা রেখেই উঠে যাবেন ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে। শর্ত পূরণ করতে পারছেন না বলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বে¡ও টি-২০ সিরিজ খেলতে পারছেন না মুশফিকুর রহিম। তামিম ইকবালেরও দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা কম।