ইউক্রেনের টেনিসকন্যা এলিনা ভিতোলিনা বিয়ে করার পর দিনই অলিম্পিকে অংশ নিতে জাপান চলে যান। হানিমুনে যাওয়া হয়নি। স্বামীসহই টোকিওতে এসেছিলেন। ইচ্ছা ছিল, টোকিও থেকে দ্রুত মধুচন্দ্রিমায় চলে যাবেন।
তাই বলে দেশের হয়ে খেলতে নেমে তো ইচ্ছা করে হারা যায় না। বরং কিছু সময়ের জন্য হানিমুনের ভূত মাথা থেকে নামিয়ে দেশের জন্য বুক চিতিয়ে লড়াই করলেন। টেনিসের নারী এককে একের পর এক জয় পাচ্ছিলেন। টানা চার ম্যাচ জিতে তিনি সেমিফাইনালে উঠে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করেন। তবে শেষ চারের লড়াইয়ে চেকপ্রজাতন্ত্রের মার্কেটার কাছে হেরে যান ৩-৬ ও ১-৬ গেমে।
হেরে যাওয়ায় মন খারাপ হলেও যেন স্বস্তি পেলেন এই টেনিসকন্যা। এখন তিনি কিছু সময় আগেই চলে যেতে পারবেন মধুচন্দ্রিমায়। এলিনা বলেন, ‘আমি খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। সে কারণেই ব্রোঞ্জ জিতেছি। তবে ফাইনাল খেলতে পারলে ভালো লাগতো।’নিজের বিয়ে সম্পর্কে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে একটা বিরল এক অভিজ্ঞতা আমার জীবনে। করোনা মহামারীর মধ্যেও বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা খুবই কঠিন ছিল। দুই পরিবারকে একত্রিত করা মোটেও সহজ ছিল না।’
এলিনা বলেন, ‘বিয়ের পর হানিমুনে না গিয়ে সোজা জাপানে চলে এসেছি। এখানে ভালো সময় কাটিয়েছি।’