শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ একটা ম্যাচ উপহার দিলেন জামাল ভঁ‚ইয়ারা। বল দখলে রাখলেন। নিখুঁত পাসিং ফুটবল খেলে মন ভরালেন সমর্থকদের। ম্যাচ শেষে জাতীয় দলে অভিষিক্ত কোচ অস্কার ব্রুজোনের মুখে ছিল আকর্ণ বিস্তৃত হাসি। কিন্তু বিজয়ের উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি কোচকে কাঁটার মতোই খোঁচাচ্ছিল আরও বেশি গোল না পাওয়ার যন্ত্রণা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বেশ কয়েকটা গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন সুমন রেজা ও সুফিলরা। সামনে প্রতিপক্ষ ভারত। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ফুটবলের সেরা দল। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ভুল ভারত ম্যাচে আর দেখতে রাজি নন অস্কার ব্রুজোন। এ কারণেই ফিনিশিংয়ের উপর বাড়তি জোর দিলেন অনুশীলনে। গতকাল টার্ফে অনুশীলনের সময় বার বারই শিষ্যদের একই কথা বলেছেন অস্কার। গোল বাড়াতে হবে। অনুশীলন শেষে জাতীয় দলের সহকারী কোচ মাহবুব হোসেন রক্সি বললেন, ‘প্রথম ম্যাচে আমাদের ফুটবলাররা কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছে। তবে আমাদের গোল বাড়ানো দরকার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগানো যায়নি।’ ভারতের বিপক্ষে সুযোগ হারালে চলবে না। এ ব্যাপারে রক্সি বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে যে ধরনের ট্রেনিং দরকার আমরা সেভাবেই অনুশীলন করছি। অস্কার ব্রুজোনের অধীনে সবাই মিলে সুন্দর একটা পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এই পরিকল্পনাকে সামনে রেখেই ফুটবলারদের ট্রেনিং করানো হচ্ছে। ফাইনাল খেলার লক্ষ্য নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ এগিয়ে চলব আমরা।’
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন ফুটবলাররা। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে গত জুনে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। সেবার সুনীল ছেত্রির দুই গোলে ২-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এর আগে কলকাতার সল্ট লেকে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে এগিয়ে গিয়েও ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় জামালদের। এবার আর সে ভুল করতে রাজি নন ইব্রাহিম। আক্রমণভাগের এ ফুটবলার বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে খেলতে আমরা সবাই অপেক্ষায় আছি। সল্ট লেকে আমরা ম্যাচটা ভালো খেলেও জিততে পারিনি (১-১ ড্র হয়েছিল)। এবার আশা করি ভারতকে হারাতে পারব।’
বাংলাদেশ কাল ভারতের মুখোমুখি হবে। এরপর ৭ অক্টোবর মালদ্বীপ ও ১৩ অক্টোবর নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।