সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাকায় হকির যত বড় আয়োজন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ঢাকায় হকির যত বড় আয়োজন

বড় কোনো সাফল্য না এলেও হকি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। অবাক হলেও সত্যি যে ফুটবলের পর এক সময় হকিরই ছিল অবস্থান। এর বড় কারণ ছিল ৫০ থেকে ৭০ দশক পর্যন্ত হকির পরাশক্তি বলতে পাকিস্তান ও ভারতকেই বোঝাত। অলিম্পিক গেমস ও বিশ্বকাপে এ দু’দেশ ছিল অপ্রতিরোধ্য। বাংলাদেশ হকির ইতিহাসে বড় কোনো সাফল্য না পেলেও গুণী খেলোয়াড়ের অভাব ছিল না। আবদুস সাদেক, বশির আহমেদ, ইব্রাহিম সাবের, প্রতাপ শংকর হাজরা, সাব্বির ইবনে ইউসুফ, এহতেশাম, মো. মুসা এরা ছিলেন হকির বড় তারকা। এর মধ্যে সাদেকের পাকিস্তান জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাঙালি বলে সাদেককে ঘিরে কম ষড়যন্ত্র হয়নি। কিন্তু যোগ্যতা তাঁকে দমাতে পারেনি।

এসব খ্যাতিমান খেলোয়াড়দের হাত ধরেই স্বাধীন বাংলাদেশে হকির নতুনভাবে আগমন ঘটে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ১৯৭৩ সালেই প্রথম বিভাগ হকি লিগের পর্দা উঠে। ১৯৭৭ সালেই সাদেকের নেতৃত্বে জাতীয় দলের অভিষেক হয়। সেবার শ্রীলঙ্কা চারটি টেস্ট খেলে বাংলাদেশের বিপক্ষে। ১৯৭৮ সালে সাদেকের নেতৃত্বেই এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো অংশ নেয়।

১৯৮৫ সালটা বংলাদেশের জন্য ছিল স্মরণীয়। সেবার প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ হকি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সফল আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাপক প্রশংসিত হয়। জনপ্রিয়তা দেখে হকির জন্য নির্মিত হয় আলাদা ভেন্যু (মওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম)। ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে হকিতেই প্রথম বসে এস্ট্র্রোটাফ।

২০০১ সালে বাংলাদেশ প্রাইম মিনিস্টার আন্তর্জাতিক হকির আয়োজন করেও ব্যাপক প্রশংসিত হয়। জনপ্রিয় এশিয়ান জুনিয়ার চ্যাম্পিয়নশিপও ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৭ সালে ঢাকায় দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়াকাপ অনুষ্ঠিত হয়। সবকিছু ছাপিয়ে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। আগামীকাল ঢাকায় পর্দা উঠবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। এশিয়ায় এটিই হকির বড় মর্যাদাকর আসর। ২০১১ সালে যাত্রা হলেও দক্ষিণ এশিয়ার এত বড় আয়োজন বাংলাদেশই করছে। অর্থাৎ ভারত ও পাকিস্তান যা পারেনি তা করে দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। এ টুর্নামেন্ট সফলভাবে পরিসমাপ্তি ঘটলে বাংলাদেশে হকির আরও বড় আসর হবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর