ডিফেন্ডার হয়েও কত ম্যাচে যে জয়ের নায়ক ছিলেন তা হিসাব মেলাতে পারব না। শহিদ উদ্দিন আহমেদ সেলিমের মৃত্যুতে কাঁদতে কাঁদতে এ কথা বলছিলেন মাঠে দীর্ঘদিনের সঙ্গী হাসানুজ্জামান খান বাবলু। ঘরোয়া ফুটবলে সেলিম, মহসিন (স্ট্রাইকার) ও বাবলুকে বলা হতো ত্রি-রত্ন। একরত্ন চলে গেলেন না ফেরার দেশে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। ২০২০ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে আসগর আলী হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সেলিম। সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছিলেন। শেষ পর্যন্ত মরণব্যাধী ক্যান্সারের কাছে হেরে গেলেন দেশের অন্যতম সেরা ফুটবলার।
সেলিমের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্রীড়াঙ্গনে। প্রয়াত রাজনীতিবিদ সাইফুদ্দিন মানিক ছিলেন তাঁর বড় ভাই। তবে সেলিম কখনো রাজনীতিতে জড়াননি। অভিজ্ঞ সংগঠক ফজলুর রহমান বাবুল বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনে ব্রাদার্স ইউনিয়নের যে সুনাম তার পেছনে বড় অবদান সেলিমেরই।’
১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে সেলিমের নেতৃত্বে ব্রাদার্স তৃতীয় ও দ্বিতীয় বিভাগ লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৭৫ সালে প্রথম বিভাগ লিগে দলটির অভিষেক হয় চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে হারিয়ে। টানা ৭ বছর ব্রাদার্সের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৮১ সালে জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বে ১৯৮১ সালে আগাখান গোল্ডকাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাদার্স।