রবিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

বরিশালকে জেতালেন মেহেদি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বরিশালকে জেতালেন মেহেদি

গেইলের ব্যাটে রান

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখলো মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স। আগের দিন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে প্রথম পর্বে হারের প্রতিশোধ নিয়েছিল খুলনা। প্রতিশোধ নিয়ে শুরু করেছিল চট্টগ্রাম পর্ব। গতকাল সাকিবের ফরচুন বরিশালের কাছে হেরেছে খুলনা। বাঁ হাতি পেসার মেহেদি হাসান রানা গতি ও সুইং এবং আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের ঘূর্ণিতে জয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করেছে বরিশাল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গতকাল সাকিব বাহিনী ১৭ রানে হারিয়েছে মুশফিক বাহিনীকে। দুই দলই চার ম্যাচে ২টি করে জয় পেয়েছে।

ঢাকা পর্বে খেলেননি স্পিনার মুজিব। গতকালই প্রথম বরিশালের হয়ে খেলতে নামেন আফগান স্পিনার। খেলেই প্রতিপক্ষ খুলনার ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলেছেন। ক্রিস গেইল আগের দুই ম্যাচে খেলেছেন মিডল অর্ডারে। গতকাল নিজের নিয়মিত জায়গা ওপেন করেছেন। নামের প্রতি সুবিচারও করেছেন বিপিএলে সবচেয়ে বেশি ৫টি সেঞ্চুরি হাঁকানো ক্যারিবীয়ান ‘ইউনিভার্সাল বস’। ৪৫ রানের আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন মাত্র ৩৪ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায়। টস হেরে ব্যাটিং করে বরিশাল। খুলনার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪১ রান করে সাকিব বাহিনী। গেইল ছাড়া সাবলীল ব্যাটিং করেন মিডল অর্ডারে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তওহিদ হৃদয়। নাজমুল শান্ত ১৯ রান করেন মাত্র ১৫ বলে ২ চারে। হৃদয় ২৩ রান করেন ২১ বলে ২ চারে। এছাড়া ওপেনার জ্যাক লিনটট ৬ বলে ১১ এবং ওয়ান ডাউনে খেলা জিয়াউর রহমান ১৩ বলে করেন ১০ রান। অধিনায়ক সাকিব আগের ম্যাচগুলোর মতোই নিস্প্রভ ছিলেন ব্যাটিংয়ে। ৭ নম্বরে ব্যাটিং করে বরিশালের অধিনায়ক মাত্র ৯ রান করেন ৬ বলে দুই চারে। বরিশালকে দেড়শ’র নিচে আটকে রাখেন কামরুল ইসলাম রাব্বি, থিসারা পেরেরা, ফরহাদ রেজারা। তিনজনেই ২টি করে উইকেট নেন।

টার্গেট ১৪২ রান। ওভার প্রতি ৭ রানের সামান্য উপরে। টি-২০ ক্রিকেটে ওভার প্রতি এমন রান তাড়া করা খুব কঠিন নয়। কিন্তু খুলনা ব্যর্থ হয়েছে। আগের দিন ৬ উইকেটে জেতা মুশফিকরা হেরে গেছেন ১৭ রানে। মুজিবের ঘূর্ণি ও নাহিদের গতি ও সুইংয়ে ১২৪ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা। আগের ম্যাচে হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলা আন্দ্রে ফ্লেচার সাজঘরে ফিরেন মাত্র ৪ রানে। মুজিবের ঘূর্ণিতে প্রথম ওভারেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে খুলনা। সেখান থেকে দলকে টেনে নিতে চেষ্টা করেন অধিনায়ক মুশফিক। আগের দিন চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা মুশফিক গতকাল খেলেন ৪০ রানের ইনিংস। ৩৬ বলের ইনিংসে ১টি করে চার ও ছক্কা মারেন খুলনার অধিনায়ক। অধিনায়কের বিদায়ের পর হাল ধরতে চেষ্টা করেন ইয়াসির আলি ও থিসারা পেরেরা। কিন্তু ম্যাচসেরা মেহেদি রানার আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে ৬ বল হাতে রেখেই অলআউট হয় ১২৪ রানে। ইয়াসিরকে ব্যক্তিগত ২৩ রানে বোল্ড করেন মেহেদি রানা ১৫ নম্বর ওভারের তৃতীয় বলে। এরপর ১৯ নম্বর ওভারের ২, ৪ ও ৫ নম্বর বলে আরও তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ নিজেদের করে নেন মেহেদি। ম্যাচসেরা মেহেদির স্পেল ৩-০-১৭-৪।       

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর