ইচ্ছা হলে ক্যাম্পে যোগ দেব। না হয় ঘুরে বেড়াব। বাংলাদেশের ফুটবলে এ দৃশ্য বড্ড চেনা। জাতীয় দল বা ক্লাব সব ক্ষেত্রে ফুটবলাররা নিজের ইচ্ছামতো চলেন। ফুটবলে যে নিয়ম বা ডিসিপ্লিন আছে তা যেন তাদের অজানা। এ খেলার করুণ দশার পেছনে যেমন কর্মকর্তারা দায় এড়াতে পারবে না। তেমনিভাবে ফুটবলারদের স্বেচ্ছাচারিতাও দায়ী। যতই নিয়ম ভাঙা হোক ফুটবলাররা থাকছেন রাজার হালে। অনিয়মই তাদের কাছে নিয়ম।
এবার দেশের ফুটবলে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো। প্রীতি ম্যাচ ও এশিয়া কাপ বাছাই পর্ব ঘিরে আবাসিক ক্যাম্প শুরুর তারিখ ঘোষণা করে বাফুফে। নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করে ফুটবলারদের রিপোর্ট করতে বলা হয়েছিল। গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল চট্টগ্রাম থেকে ক্যাম্পে উপস্থিত হতে আগেই অপরাগতা প্রকাশ করেছিলেন। আর নাবীব নেওয়াজ জীবন একদিন পর ক্যাম্পে যোগ দেন। তবে কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা নির্দিষ্ট সময়ে না আসায় তাকে ক্যাম্পে যোগ দিতে দেননি। জীবন অবশ্য বলেছেন তিনি জানতেন না ক্যাম্প শুরুর কথা। কোচ তার কথা গুরুত্ব দেননি। সরি বলে তাকে বিদায় দেন। কাবরেরার কাছে এটা বড় অপরাধ। কোনো খেলোয়াড় ডাক পাওয়ার পরও সময়ের মূল্য বুঝবেন না তা তো হতে পারে না। জীবন ও সোহেলকে কারণ দর্শানো নোটিস দেওয়া হয়েছে। ভাবা যায় বাংলাদেশের ফুটবলে এমন দৃশ্য। অনেকে অবাক হতে পারেন। তবে এটাই নিয়ম। নিয়ম ভাঙলে শাস্তি পেতে হবেই।