সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

জাতীয় দলে ব্যক্তিগত অর্জন

১৯৭৩ থেকে ২০২২। ৪৯ বছরে জাতীয় ফুটবল দল অসংখ্য ম্যাচ খেললেও শিরোপা এসেছে হাতেগোনা। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপ, চ্যালেঞ্জ কাপ, সাফ গেমস, কিংস কাপ ও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে। ফুটবলারদের ব্যক্তিগত রেকর্ড ও অর্জনও রয়েছে। এসব কৃতিত্ব নিয়েই মনোয়ার হকের এ প্রতিবেদন

 

অভিষেকে অধিনায়ক

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রতিবেশী দেশ ভারতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করা হয়। ভারতে বিভিন্ন প্রদেশে প্রদর্শনী ম্যাচে অংশ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য দলটি ফান্ড সংগ্রহ করে। জাকারিয়া পিন্টু ছিলেন সেই দলের অধিনায়ক। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় দল গড়া হলে পিন্টুই হন অধিনায়ক। তাঁর নেতৃত্বেই মারদেকা কাপে ফিফা স্বীকৃত টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে। দেশের হয়ে প্রথম নেতৃত্বের দায়িত্ব পাওয়াটা নিঃসন্দেহে গৌরবের। বাংলাদেশের ফুটবল রেকর্ড বুকে পিন্টুর নাম স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে।

 

 

প্রথম গোলদাতা

এনায়েতুর রহমান এনায়েতের নাম বাংলাদেশের ফুটবলে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ঘরোয়া ফুটবলে বিজেএমসি, ওয়াপদা ও মোহামেডানের হয়ে মাঠ কাঁপান তিনি। খেলেছেন ভিক্টোরিয়া ও রহমতগঞ্জে। স্বাধীন বাংলা দলের ফুটবলারও ছিলেন। সেই এনায়েতের মাথা থেকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের প্রথম গোল আসে। ১৯৭৩ সালে মালয়েশিয়ায় মারদেকা কাপে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাস গড়া গোলটি করেন তিনি। সুনীলের ক্রস থেকে এনায়েত হেডে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন।

 

 

 

অধিনায়ক থেকে কোচ

কাজী সালাউদ্দিন দেশের একমাত্র ফুটবলার যিনি জাতীয় দলের অধিনায়ক ও কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আবার চার মেয়াদ ধরে দেশের ফুটবলের অভিভাবকও।

স্বাধীন বাংলা দলে খেলা সালাউদ্দিন ১৯৭৩ সালেও জাতীয় দলে ছিলেন। ১৯৭৫ সালে হন অধিনায়ক। সেবার বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার মারদেকা কাপে অংশ নেয় তাঁরই নেতৃত্বে। ১৯৮৪ সালে ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টেনে কোচ হন। ১৯৮৫ সালে তাঁর প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ জাতীয় দল ঢাকায় সাফ গেমসে খেলে রৌপ্য জেতে।

 

 

সর্বোচ্চ গোলদাতা

ঘরোয়া ফুটবলে টানা চারবার সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার রেকর্ড রয়েছে তাঁর। হ্যাঁ, শেখ মো. আসলামকে দেশের গোল মেশিনই বলা হতো। সেই আসলাম জাতীয় দলের হয়ে শিরোপা জিততে না পারলেও বাংলাদেশের জার্সিতে সবচেয়ে গোল দেওয়ার মালিক তিনিই। ১৯৭৮ সালে এশিয়ান গেমসে জাতীয় দলে আসলামের অভিষেক। তবে গোল করা শুরু ১৯৭৯ সাল থেকে। সেবার দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে প্রেসিডেন্ট কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১ গোল করেন। ১৯ ম্যাচে তাঁর গোল সংখ্যা ২৪টি। দুটি হ্যাটট্রিকও আছে।

 

 

সর্বোচ্চ ম্যাচের মালিক

২০১৩ সালে জামাল ভূঁইয়ার অভিষেক হলেও জাতীয় দলে তিনি দুটি রেকর্ড গড়েছেন। এক বাংলাদেশ ফুটবলে তিনিই প্রথম প্রবাসী হিসেবে জাতীয় দলে সুযোগ পান। এক সময় যা ভাবা যেত না।

তা-ই করে দেখিয়েছেন তিনি। গর্বের বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ ৬৫ ম্যাচ খেলার মালিক। এবার এশিয়া কাপ বাছাই পর্বে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে খেলে এ রেকর্ড গড়েন। জাহিদ হাসান এমিলি ৬৪ ও মামুনুল ইসলাম ৬৩টি ম্যাচ খেলেন। জামালের আশা তিনি জাতীয় দলের হয়ে শত ম্যাচের মালিক হতে চান।

সর্বশেষ খবর