২০২১ সালে শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। ১২ মাস পর এবারও রান তাড়া করে সিরিজ জয়ের হাতছানি ছিল টাইগারদের। কিন্তু পারল না এক বছর আগের পুনরাবৃত্তি করতে পারল না টাইগাররা। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের অধিনায়কত্বের অভিষেক ম্যাচ জিততে পারল না বাংলাদেশ।
সিরিজ জিততে পারল না দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৯ রান। উইকেটে ছিলেন ব্যাটার আফিফ হোসেন। কিন্তু ৮ রানের বেশি নিতে পারেননি। হেরে যায় ১০ রানে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে টাইগাররা হেরেছিল ১৭ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচ ৭ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা আনে বাংলাদেশ। গতকাল সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে কোনো ব্যাটারই দায়িত্ব নিয়ে শেষ করতে পারেননি।
আফিফ ২৭ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। স্ট্রাইক রেট ১৪৪.৪৪! কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্যি, তার ইনিংসে ছিল না কোনো ছক্কা। জিম্বাবুয়ান ব্যাটাররা যেখানে ১০টি ছক্কা হাঁকান, সেখানে টাইগারদের ইনিংসে ছিল মাত্র ১টি ছক্কা। এই ম্যাচ পর আবারও প্রমাণিত হলো, বাংলাদেশের আসলে কোনো হার্ড হিটার নেই। নেই কোনো ফিনিশার। অথচ ৬৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে যখন পুরোপুরি কোণঠাসা, সেখান থেকে রায়ান বার্ল হার্ড হিটিং ব্যাটিং করে দলকে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৬ রানে নিয়ে যান। স্বাগতিকরা প্রথম ১০ ওভারে ৫৬ রান তুললেও শেষ ১০ ওভারে কাটায় কাটায় ১০০ রান যোগ করে স্কোর বোর্ডে। এরমধ্যে ইনিংসে ১৫ নম্বর ওভারে নাসুম আহমেদের এক ওভারে ৫ ছক্কা ও এক চারে ৩৪ রান নেন বার্ল। ম্যাচসেরা বার্ল ৫৪ রান করেন ২৮ বলে।স্কোর কার্ড
জিম্বাবুয়ে : ১৫৬/৮ (২০ ওভার)
(বার্ল ৫৪, জঙ্গে ৩৫; মেহেদি ২/২৮, হাসান ২/২৮)
বাংলাদেশ : ১৪৬/৮ (২০ ওভার)
( আফিফ ৩৯*, মাহমুদুল্লাহ ২৭; ভিটোরি ৩/২৯ )
ফল : জিম্বাবুয়ে ১০ রানে জয়ী। সিরিজ : ২-১ জিম্বাবুয়ে জয়ী