অ্যাথলেটিক ফিগার। দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের জন্য আলাদা পরিচিতি দলে। শুধু ফিল্ডিং নয়, মিডল অর্ডারে দারুণ ব্যাটিংও করেন। সাব্বির রহমান; দেশের সেরা তারকা ক্রিকেটার হওয়ার সবধরনের উপকরণ ছিল তার। কিন্তু হঠাৎ করে ছন্দ হারিয়ে দল থেকে বাদ পড়েন। এক সময় মনে হচ্ছিল, স্মৃতির খেরো খাতায় লেখা হয়ে যাবে তার নাম। কিন্তু অদম্য সাব্বির হেরে যাননি। জাতীয় দলে ফিরতে কঠোর অনুশীলন করতে থাকেন। প্রিমিয়ার ক্রিকেটে লেজেন্ড অব রূপগঞ্জের হয়ে দারুণ খেলেন। সেঞ্চুরি, হাফসেঞ্চুরি করে জায়গা করে নেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলে। এবার সুযোগ করে নেন জাতীয় দলে। ৩৫ মাসের ব্যবধানে ফিরেছেন জাতীয় দলে। ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ টি-২০ ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১ রান করেছিলেন সাব্বির। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ৩৬ বলে ২৬ রান করেছিলেন। ২০১৫ সালে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয়ী ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন সাব্বির ৩২ বলে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে। ৪৪ ম্যাচ ক্যারিয়ারে রান করেছেন ১২০.৮১ স্ট্রাইক রেটে ৯৪৭। সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫৪ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায়। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনায় ৫০ এবং ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৫০ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৭ রান করেছিলেন সব্বির। এরপর থেকেই ছন্দ হারাতে থাকেন। বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। বাদ পড়ে যান আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে। এবার ফিরেছেন এশিয়া কাপের স্কোয়াডে।
বাংলাদেশ টি-২০ দলে প্রথম বারের মতো সুযোগ পেয়েছেন পেসার ইবাদত হোসেন। বাদ পড়েছেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন সাকিব আল হাসান। গতকাল সাকিবের সঙ্গে বোর্ড সভাপতির বৈঠকের পরই ঘোষণা করা হয় ১৭ সদস্যের স্কোয়াড।
এশিয়া কাপ স্কোয়াড
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, শেখ মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, ইবাদত হোসেন, পারভেজ হোসেন ইমন, নুরুল হাসান সোহান ও তাসকিন আহমেদ।