দুর্ভাগ্য হাসান মাহমুদের। ইনজুরির জন্য গত দেড় বছর জাতীয় দলের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি। জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে ফেরেন জাতীয় দলে। দারুণ বোলিং করেন সফরে। যা টিম ম্যানেজমেন্টের বাড়তি নজর কাড়ে। ফলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পান এশিয়া কাপে। ২৭ আগস্ট শুরু আসর। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৩০ আগস্ট। আসরে টাইগারদের নেতৃত্ব দেবেন সাকিব আল হাসান। গতকাল শুরু হয়েছে এশিয়া কাপের অনুশীলন। প্রথম দিনেই গোড়ালিতে আঘাত পান ডান হাতি পেসার হাসান মাহমুদ। আহত হয়ে মাঠের বাইরে চলে আসেন। এরফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ডান হাতি পেসার হাসানের এশিয়া কাপ। গোড়ালিতে যে ব্যথা পেয়েছেন হাসান, সেখান থেকে পুরোপুরি সুস্থ হতে একজন ক্রিকেটারের সময় লাগে কমপক্ষে ৩ সপ্তাহ। তার ইনজুরি নিয়ে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘প্লেয়াররা যখন ভালো অবস্থায় থাকে, তখনই ইনজুরি আসে। এটা খুবই হতাশাজনক। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনই বলা যাচ্ছে না, এশিয়া কাপ হাসান মাহমুদ মিস করতে পারে।’ যদি কোনো কারণে হাসান এশিয়া কাপ মিস করেন, তাহলে ১৭ সদস্যের স্কোয়াডে আরও চার পেসার থাকবেন। বিসিবিও তার পরিবর্তে অন্য কোনো পেসারকে নেবে না। হাসান ৩ টি-২০ ম্যাচ উইকেট নিয়েছেন ৩টি। ৫ ওয়ানডেতে উইকেট ৮টি। ডান হাতি পেসারের ইনজুরি নিয়ে বিসিবি চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এক্সরে রিপোর্ট পেয়েছি। ভালো আসছে। গোড়ালিতে ফোলা কমেনি। আগামী দুই দিন সে বিশ্রামে থাকবে। ফোলা না কমলে দুই দিন পর আবারও এমআরই করাব। এরপরই নিশ্চিত হতে পারব এশিয়া কাপে সে খেলবে কি না।’