বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সাবিনাদের সামনে ভারতও অসহায়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাবিনাদের সামনে ভারতও অসহায়

ভারতের বিপক্ষে দারুণ এক জয়ের স্বাদ উপহার দিলেন সাবিনা খাতুনরা। মেয়েদের ফুটবলে বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় ভারতকে বেশ কবারই হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে জাতীয় দলের লড়াইয়ে কখনো জয়ের দেখা পায়নি। অবশেষে অধরা জয়ের দেখা মিলল। গতকাল সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে এ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারতকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ে গ্রুপের সেরা হিসেবেই সেমিফাইনাল খেলবেন সাবিনা খাতুনরা।

ভারতের বিপক্ষে এতদিন জাতীয় নারী ফুটবল দলের ইতিহাস ছিল কেবলই ব্যর্থতার। অবশেষে সেই ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে ফেললেন সাবিনা খাতুনরা। ২০১০ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের কাছে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৬-০ গোলে পরাজিত হয় বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০১২ সালের সাফে গ্রুপ পর্বে পরাজিত হয় ৩-০ গোলে। ২০১৪ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ প্রথম গোল করে ভারতের বিপক্ষে। তবে ম্যাচটা হারে ৫-১ গোলে। ২০১৬ সালের সাফে গ্রুপ পর্বে গোল শূন্য ড্র করে ভারতের সঙ্গে। সেবার ফাইনালে ভারতের কাছে পরাজিত হয় ৩-১ গোলে। ২০১৯ সালে সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ৪-০ গোলে হারায় ভারত। মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের বিপক্ষে এতদিন কেবল পরাজয়ের ইতিহাসই ছিল বাংলাদেশের। ইতিহাসের গতিপথ এবার বদলে দিল গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।

অতীতে জাতীয় দল সাফে ভারতকে হারাতে ব্যর্থ হলেও বয়সভিত্তিক দলগুলো ভারতকে হারিয়েছে। ২০১৭ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশের মেয়েরা (১-০)। সেবার গ্রুপ পর্বেও ভারতকে ৩-০ গোলে হারায় বাংলাদেশের মেয়েরা। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপেও ফাইনালে এবং গ্রুপ পর্বে ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। বয়সভিত্তিক দলগুলোর লড়াইয়ে ভারতের বিপক্ষে জয় পাওয়া দলের অনেকেই গতকাল খেলেছেন জাতীয় দলে। বিশেষ করে মনিকা চাকমা, রূপনা চাকমা, মারিয়া মান্ডা, আঁখি খাতুনরা গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলেছেন। তারাই এবার জাতীয় দলের হয়ে হারিয়ে দিলেন ভারতকে। এমন এক জয়ের পর বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বললেন, ‘আমরা বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় ভারতকে হারালেও জাতীয় দলের লড়াইয়ে এবারই প্রথম হারালাম। এ আনন্দ সত্যিই অন্যরকম।’

সর্বশেষ খবর