বসুন্ধরা কিংস একের পর এক রেকর্ড গড়েই চলেছে। গতকাল ছিল পেশাদার ফুটবলে হ্যাটট্রিক শিরোপাধারী দলটির নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচ। শুরুটা করল নতুন রেকর্ড গড়ে। গতকাল কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা কাপে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ১৪-০ গোলে ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুলকে হারিয়েছে। শুধু কি তাই ঢাকা আবাহনী থেকে যোগ দেওয়া ডরিয়েলটন গোমেজ প্রথম দিনেই ডাবল হ্যাটট্রিক করেছেন। আরেক ব্রাজিলিয়ান রবসন রবিনহো করেন হ্যাটট্রিক। ১টি করে গোল করেন বিপুল আহমেদ, তারিক কাজী, মিগেল ফিগেরেইরা, ইয়াসিন আরাফাত ও মাসুক মিয়া জনি।
এক সময় মোহামেডান ও আবাহনীকে হারানো ফকিরেরপুল কিংসের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। রবসন, ডরিয়েলটনরা তাদের নিয়ে ছেলেখেলা খেলে। পেশাদার লিগে আসার পর এটি শুধু কিংসেরই বড় জয় নয়। স্বাধীনতার পর ঘরোয়া ফুটবলে প্রথম শ্রেণির আসরে এত গোল কোনো দলই করতে পারেনি। তাছাড়া এক ম্যাচে এক দলের ডাবল হ্যাটট্রিক ও হ্যাটট্রিকের রেকর্ড নেই। অর্থাৎ বসন্ধুরার নতুন মৌসুমটা শুরু হলো দুই নতুন রেকর্ড গড়ে। এক সময়ে মাঠ কাঁপানো ফুটবলার গোলাম সারোয়ার টিপু বলেন, ‘১৯৭৩ সালে ব্রাদার্স ইউনিয়ন তৃতীয় বিভাগ লিগে ১৫, ১৬ এমনকি ২১ গোলেও জিতেছে। ছিল ডাবল ও হ্যাটট্রিকের ছাড়াছড়ি। তবে প্রথম শ্রেণি ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৩ গোলে জেতার রেকর্ড ছিল। ১৯৬৪ সালে আগাখান গোল্ডকাপে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের ওয়ার্কার্স ক্লাব ১৩-০ গোলে ঢাকার ওয়ারীকে পরাজিত করেছিল। এখন বসুন্ধরার ১৪ গোলই ঘরোয়া ফুটবলে সর্বোচ্চ।’
রবসন-ডরিয়েলটন জুটি সেই সঙ্গে মিগেলরা কতটা ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারে তা প্রথম ম্যাচেই আভাস পাওয়া গেছে। ২৪, ৪৪, ৪৮, ৮৪, ৮৬ ও ৯০ মিনিটে ৬ গোল করে ডাবল হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব গড়েন ডরিয়েলটন।রবসন রবিনহো ১৩, ২৪ ও ৬২ মিনিটে ৩ গোল করে হ্যাটট্রিক করেন।