সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস ফেবারিট

আজ এমন দুটি দেশ বিশ্বকাপে লড়বে যাদের অভাগা বললেও ভুল হবে না। ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস নিজেদের গ্রুপে প্রথম ম্যাচ খেলবে আজ। প্রশ্ন উঠতে পারে দুদেশকে আমি অভাগা বলছি কেন। তবে আমি নয় আমার এ কথার সঙ্গে অনেকে একমত হবেন। ফুটবলকে জনপ্রিয় করার পেছনে ইংরেজদের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ইংলিশ ফুটবল লিগই ফুটবলকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। অথচ সেই ইংল্যান্ডই বিশ্বকাপ জিতেছে মাত্র একবার। ১৯৬৬ সালে ফাইনালে তারা তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে প্রথম ও শেষবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অবাক হলেও সত্যি যে এরপর তারা ফাইনালে উঠতে পারেনি। কিছুদিন আগে দেখলাম ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারিকেন বলেছেন, আমি নিজেও অবাক হই ইংল্যান্ড কেন পারে না। আমি তাঁর কথার সঙ্গে পুরোপুরি একমত। কি নেই ইংল্যান্ডের। প্রতিটি বিশ্বকাপেই তারা সেরা সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গড়ে। অথচ ৬৬ সালের পর তাদের বড় প্রাপ্তি সেমিফাইনাল।

ইংল্যান্ড আজ বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে ইরানের বিপক্ষে। শক্তি ও পারফরম্যান্সের বিচারে অবশ্যই আমি ইংল্যান্ডকে এগিয়ে রাখব। কিন্তু ইরানকেও হালকা চোখে দেখছি না। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে চমক দেখায় তারা। ২০১৪ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রায় রুখেই দিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে মেসির গোলে জিতে যায়। এটা ঠিক ইংল্যান্ডে তারকার শেষ নেই।

গত বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট জয়ী হ্যারি কেইন তো আছেনই, বুকায়ো সাকা, ফিলফোডেন, জেসন সাঞ্জো ও মার্কোস ফোর্ডরা নিজেদের সেরাদের দিতে পারলে ইংল্যান্ডের কপাল হয়তো খুলতে পারে। ইংল্যান্ডের প্রতি সহানুভূতি থাকলেও আমি চাইব ইরানের জয়। কারণ নাসের হেজাজি আমার কোচ ছিলেন। নালজেগার, বিজনতাহেরী, মতুর্জা ও বোরহান জাদের সঙ্গে মোহামেডানে খেলেছি।

আসা যাক নেদারল্যান্ডসের কথা। প্রতিপক্ষ সেনেগাল। ওই যে অভাগা বলেছি না ডাচরা হচ্ছে বিশ্বকাপে বড় অভাগা দেশ। তিন বার ফাইনাল উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। জানি না এবার তাদেও স্বপ্ন পূরণ হবে কি না।

সর্বশেষ খবর