মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

‘বিশ্বকাপের পরিকল্পনা এখন থেকেই’

যে ভুলগুলো আছে, সেগুলো নিয়ে কাজ করব এ ঘরোয়া টুর্নামেন্টে। নতুন কোচ আসবেন, তারা তাদের পরিকল্পনা সাজাবেন। তাকে আমরা আমাদের ভাবনাগুলো দেব। কীভাবে খেলতে পছন্দ করি, কোন জায়গায় কী সমস্যা, সেটা জানাব।

ক্রীড়া প্রতিবেদক

২০২৩ সাল দারুণ ব্যস্ততায় কাটবে ক্রিকেটারদের। ৫ টেস্ট, ১৬ টি-২০ এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ ছাড়া ১৮টি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। জুলাইয়ে পাকিস্তানে ওয়ানডে এশিয়া কাপ এবং অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ সুপার লিগে ১৮ ম্যাচের ১২টি জিতে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন টাইগাররা। সব মিলিয়ে দারুণ ব্যস্ততায় কাটবে ক্রিকেটারদের। তবে সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল, মুস্তাফিজুর রহমানরা বছর শুরু করছেন ২০ ওভারের টুর্নামেন্ট বিপিএল দিয়ে। ৭ দলের টুর্নামেন্ট বিপিএল শুরু ৬ জানুয়ারি। ফাইনাল ১৬ ফেব্রুয়ারি। অনুশীলনে নেমে পড়েছে দলগুলো। গত বছর দারুণভাবে শেষ করা স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ বিপিএলে খেলছেন ফরচুন বরিশালের পক্ষে। গতকাল অনুশীলনের ফাঁকে কথা বলেন স্পিন অলরাউন্ডার। মিডিয়ার মুখোমুখিতে স্পষ্ট করেই জানান তিনি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছেন, ‘২০২৩ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। বিশ্বকাপকে ঘিরেই আমাদের সব পরিকল্পনা করা হবে। আমিও মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়। বিশ্বকাপ বড় ইভেন্ট। প্রস্তুতিও ওভাবেই নিতে হবে। আমরা যদি এখন থেকে প্রস্তুতি নেই, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। যে ধারাবাহিকতায় আমরা খেলে এসেছি, সেটা যদি টেনে নিতে পারি তাহলে দলের জন্য অবশ্যই ভালো হবে।’

২০২২ সাল দারুণ কেটেছে অফ স্পিনার কাম ব্যাটার মিরাজের। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো একটি সেঞ্চুরির ইনিংসও খেলেছেন। ১৫ ওয়ানডেতে রান করেছেন ৩৩০। উইকেট নিয়েছেন ২৪টি। অক্টোবর-নভেম্বরের বিশ্বকাপে টাইগারদের অন্যতম আস্থার নাম মিরাজ। তিনি এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এখন থেকেই নিজের পরিকল্পনা কষছেন, ‘খেলোয়াড়রা সবাই নিজের প্রস্তুতি ও নিজের কাজ সম্পর্কে জানে। কীভাবে উন্নতি করব কিংবা প্রস্তুতিটা কীভাবে নেব, সে সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই জানি। শেষ পর্যন্ত খেলোয়াড়দের ভালো খেলতে হবে। এ জন্য তাদের প্রস্তুতিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের মূল ও শক্তির জায়গাগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।’

ব্যস্ত বছর কাটালেও ক্রিকেটাররা প্রথম তিন মাস থাকবেন কোচ ছাড়া। ডিসেম্বরে নিজ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাসেল ডোমিঙ্গো। যদিও তার কোচিংয়ে বছরের শেষ ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল ভারতের বিপক্ষে। অবশ্য ইংল্যান্ডর বিপক্ষে মার্চে যে ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-২০ ম্যাচ খেলবে, তার আগেই কোচের নিয়োগ দেওয়া হতে পারে জানিয়েছে বিসিবি। অবশ্য সিরিজে দায়িত্ব পালন করতে পারেন কনসালটেন্ট হিসেবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীধরণ শ্রীরাম। বিশ্বকাপের আগে কোচ হিসেবে মাত্র সাত মাস পাবেন ক্রিকেটাররা। কোচের নিয়োগ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না মিরাজ, ‘যে ভুলগুলো আছে, সেগুলো নিয়ে কাজ করব এ ঘরোয়া টুর্নামেন্টে। নতুন কোচ আসবেন, তারা তাদের পরিকল্পনা সাজাবেন। তাকে আমরা আমাদের ভাবনাগুলো দেব। কীভাবে খেলতে পছন্দ করি, কোন জায়গায় কী সমস্যা, সেটা জানাব।’

ডোমিঙ্গোর বিদায়ে টাইগারদের হেড কোচের শূন্য স্থান পূরণ করতে বিসিবি কাজ করছে। এক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন চন্ডিকা হাতুরাসিংহে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হেড কোচ ছিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত হাতুরাসিংহের কোচিংয়ে টাইগাররা প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল। চলতি বিশ্বকাপেও হয়তো কোচ হিসেবে হাতুরাসিংহকে দেখা যেতে পারে। লঙ্কান কোচের প্রথম মেয়াদকালে অভিষেক মিরাজের। আবারও যদি কোচ হন হাতুরাসিংহে, তাহলে কাজটা আরও সহজ হবে বিশ্বাস স্পিন অলরাউন্ডারের। দলে টিকে থাকতে পারফরম্যান্স করার কোনো বিকল্প নেই বলেন, ‘আমি যদি পারফর্ম করতে না পারি তাহলে কিন্তু খেলতে পারব না, যে কোচই আসুক না কেন। এখানে পারফর্ম করেই খেলতে হবে। পারফর্ম করলে খেলতে পারব দীর্ঘ সময়। যা আমার ক্যারিয়ারের জন্য ভালো হবে।’

সর্বশেষ খবর