ইনিংসের ১৯তম ওভার শেষ। আজম খান তখন ৯২ রানে ব্যাটিং করছেন। সেঞ্চুরি করতে দরকার ৮ রান। স্ট্রাইকিংয়ে ওয়াহাব রিয়াজ। প্রথম বলে লেগ বাই। স্ট্রাইক নিলেন আজম। এক রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন। বিপিএলের চলতি আসরের প্রথম সেঞ্চুরি করতে আজমের দরকার তখন ৭ রান। তৃতীয় বলে এক রান নেন ওয়াহাব। ৯৩ রানে ব্যাট করতে থাকা আজমের দরকার তখন ৩ বলে ৭ রান। মৃত্যুঞ্জয়ের চতুর্থ বলে মিড উইকেটে বাউন্ডারি মেরে পৌঁছে যান ৯৭ রানে। পঞ্চম বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ছক্কা মেরে ৯৭ থেকে পৌঁছে যান সেঞ্চুরিতে। তুলে নেন ৫৭ বলে তিন অংকের জাদুকরি ইনিংস। পরের বলে ফের ছক্কা। ইনিংস শেষ করেন ৫৮ বলে ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে। আজমের সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে খুলনা টাইগার্সের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭৮। বিপিএলের ৯ আসরে এটা ২৬ নম্বর সেঞ্চুরি। আজমের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। পাকিস্তানের লিজেন্ড উইকেটরক্ষক ব্যাটার মঈন খানের ছেলে আজম। ২৪ বছর বয়সী আজম পাকিস্তানের হয়ে ৩টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। বিশাল দেহী আজম বিপিএলেও এর আগে খেলেছেন ঢাকা ডমিনেটরের হয়ে। গতকাল তিনি খেলতে নামেন ১২ রানে ২ উইকেটের পতনের পর। এরপর টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ৯২ রান যোগ করেন ৬২ বলে। তামিম ৪০ রান করেন ৩৭ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায়। আজমের ৯৩ টি-২০ ম্যাচ ক্যারিয়ারে এটাই প্রথম সেঞ্চুরি। ৯২ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি ছিল ১০টি। সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৮৮। গতকাল প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গীতে ব্যাটিং করেন। হাফসেঞ্চুরি করেন ৩৩ বলে ৩ ছক্কা ও ৪ চারে। সেঞ্চুরি করেন ৫৭ বলে। দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরির ইনিংসটি ২৪ বলে। দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরির ইনিংসে ছক্কা মেরেছেন ৫টি। সব মিলিয়ে আজম খান ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ৫৮ বলে ৯ চার ও ৬ ছক্কায়।