সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত শিরোপা জেতার পর কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন ও সাবিনা খাতুন বলেছিলেন, এখানেই তারা থেমে থাকতে চান না, যেতে চান বহুদূর। তা সম্ভব হবে কিনা তা বলা মুশকিল। তবে নারী ফুটবলারদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ আসছে। আর তা এপ্রিল মাসেই। ৩ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৪ ফ্রান্স অলিম্পিকে নারী ফুটবলে এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্ব। গতকাল মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়ান অঞ্চলের ড্র। ২৮ দেশের সাত গ্রুপে বাংলাদেশ খেলবে ‘বি’ গ্রুপে। সেখানে সাবিনাদের প্রতিপক্ষ ইরান, মিয়ানমার ও মালদ্বীপ।
১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিক থেকে বাংলাদেশের ফুটবলাররা বাছাইপর্ব খেলছেন। তারা প্রতিবারই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অবশ্য এর আগেও নারী ফুটবলাররা অলিম্পিক বাছাইপর্বে খেলেছেন। পরবর্তী রাউন্ডে যেতে না পারলেও পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। এবার সাফ ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সাবিনা-আঁখিদের ওপর আস্থা বেড়ে গেছে। পুরুষ দল হলে কেউ আর ভালো কিছু আশা করত না। নারী ফুটবল বলেই যত কথা।
![](/assets/archive/images/Print-Edition/2023/01.%20January/13-01-2023/BD-Pratidin_2023-01-13-24.jpg)
ইরান ও মিয়ানমারে অভিজ্ঞ ফুটবলাররা খেলেন। যাদের বয়স ২২ থেকে ২৭ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। বয়সভিত্তিক ফুটবলে বেশ কবার ইরানকে হারানোর রেকর্ড থাকলেও অলিম্পিক ফুটবলের বিষয়টি ভিন্ন।’
ছোটন বলেন, ‘অনুশীলনও শুরু হয়েছে। কোথায় খেলা হবে ভেন্যু এখনো ঠিক হয়নি। আমার বিশ্বাস বাছাইপর্বে খেলার আগে বাফুফে মেয়েদের জন্য প্রীতিম্যাচের ব্যবস্থা করবে কি করবে না এমন বলাটা কঠিন। তবে লজ্জার ফল হবে না তা গ্যারান্টি দিতে পারি। নারী লিগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন দল বসুন্ধরা কিংসের কোচ গোলাম জিলানী বলেন, অলিম্পিকের বাছাইপর্ব অনেক বড় আসর। তারপরও আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের মেয়েরা হতাশ করার মতো কিছু করবে না।