বোলার বল ছুড়ছেন। সেই বল আর মাঠের সীমানায় থাকছে না। উড়ে যাচ্ছে বাইরে। কখনো গড়িয়ে গড়িয়ে। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে দর্শকদের মাতিয়ে তুললেন সাকিব আল হাসান ও ইফতিখার আহমেদ। দুজনের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ফরচুন বরিশাল সংগ্রহ করল ২৩৮ রান। বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। রংপুর রাইডার্সের গড়া ২৩৯ রানের রেকর্ডটা এক রানের জন্য স্পর্শ করতে পারল না বরিশাল। ম্যাচটা ৬৭ রানে জিতে মাঠ ছাড়েন সাকিবরা।
ম্যাচের শুরুটা ভালো করেছিল রংপুর রাইডার্সের বোলাররা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গতির ঝড় তুলেছিলেন হারিস রউল। তার গতি থামাতে পারেননি ফরচুন বরিশালের এনামুল হক ও ইব্রাহিম জাডরান। হাসান মাহমুদও রউফের দেখানো পথেই হাঁটেন। ষষ্ঠ ওভারে পর পর দুই বলে (তিন ও চার নম্বর) বিদায় করেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও মাহমুদুল্লাহকে। ৪৬ রানে চার উইকেট শিকার করে রংপুর রাইডার্স বেশ সুবিধাজনক স্থানেই ছিল। তবে এরপরই সাকিব আল হাসান ও ইফতিখার আহমেদ উইকেটে সেট হয়ে যান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে দুজন দলের খাতায় যোগ করেন ১৯২ রান।
সাকিব![](/assets/archive/images/Print-Edition/2023/01.%20January/20-01-2023/BD-Pratidin_2023-01-20-20.jpg)
চলমান বিপিএলেই কেবল নয়, বিপিএলের পুরো ইতিহাসে পঞ্চম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রান করলেন সাকিব-ইফতিখার। সব মিলিয়ে তাদের জুটি আছে তিন নম্বরে। রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে গেইল-ম্যাককালামের ২০১ রানের জুটিটাই এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ২০১৭ সালে ঢাকা ডিনামাইটসের বিপক্ষে তারা এই রান করেন। খুলনার জার্সিতে ভিনসেন্ট-শাহরিয়ার নাফিস জুটি করেছিলেন ১৯৭। ২০১৩ সালে রাজশাহীর বিপক্ষে এই জুটি গড়েছিলেন তারা।
২৩৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৭১ রানে শেষ হয় রংপুর রাইডার্সের ইনিংস। রংপুরের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন শামীম হোসেন। এ ছাড়া মোহাম্মদ নওয়াজ ৩৩ ও মোহাম্মদ নাইম ৩১ রান করেন। মিরাজ ৩টি এবং ওয়াসিম ও কামরুল ২টি করে উইকেট শিকার করেন বরিশালের পক্ষে। ম্যাচসেরার পুরস্কার জয় করেন ইফতিখার আহমেদ।