রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোই চ্যালেঞ্জ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোই চ্যালেঞ্জ

মিরপুরের উইকেট ও চট্টগ্রামের উইকেটের আচরণগত ফারাক বিস্তর। মিরপুরের উইকেটে বল ধীরলয়ে আসে। লাটিমের মতো ঘুরে। স্ট্রোক খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না ব্যাটাররা। বিপরীতে চট্টগ্রামের উইকেটে বলে বাড়তি বাউন্স থাকে। ব্যাটাররা স্ট্রোক খেলেন সাবলীলভাবে। টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক অক্টোবর-নভেম্বরের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আগাম পরিকল্পনায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে চট্টগ্রামে খেলার ইচ্ছা পোষণ করেন। টাইগার অধিনায়কের আগ্রহে শিডিউলে পরিবর্তন এনে বিসিবি শেষ ওয়ানডে চট্টগ্রামেই আয়োজন করছে। সাত বছর পর ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ হেরে টাইগাররা এখন চট্টগ্রামে। আগামীকাল তিন ম্যাচ সিরিজের শেষটি খেলবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের হার্ড ও বাউন্সি উইকেটে। হোয়াইট ওয়াশ এড়াতেই মরণ কামড় দেবে তামিম বাহিনী। তবে ইংলিশ বোলিং ও ব্যাটিংয়ের বিপক্ষে কাজটি ভীষণ কঠিন। মিরপুরের প্রথম ওয়ানডেতে লড়াই করে হেরেছে ৩ উইকেটে। দ্বিতীয় ওয়ানডে ১৩২ রানে হেরেছে ব্যাটিং ও বোলিং ব্যর্থতায়।

চট্টগ্রামে শুধু শেষ ওয়ানডে নয়, প্রথম টি-২০ ম্যাচও খেলবে। গতকাল চট্টগ্রামে পা রেখেছে ওয়ানডে ও টি-২০ দল। এই প্রথম ২০ ওভারের ম্যাচ খেলবেন তৌহিদ হৃদয়, রেজাউর রহমান রাজা ও তানভির ইসলাম। এছাড়া ফিরেছেন রনি তালুকদার ও শামীম হোসেন। মুশফিকুর রহিমের হালকা ইনজুরিতে বিসিবি হঠাৎ করেই দ্বিতীয় ওয়ানডের দলে নিয়েছিল শামীম হোসেনকে। তৃতীয় ওয়ানডেতে আবার বাদও দিয়ে দেয়। বিসিবির এহেন আচরণ হাস্যকর!

প্রথম ওয়ানডেতে ২০৯ রান করেও লড়াই করেছিল তামিম বাহিনী। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম, সাকিব, মেহেদী হাসান মিরাজরা দারুণ বোলিংয়ে নাভিশ্বাস তুলেছিল বাটলার বাহিনীর। মিরপুরের ধীরগতির উইকেটে বাড়তি বাউন্স আদায় করে নিয়েছিলেন তাসকিন। বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল টাইট বোলিংয়ে উইকেটে বেঁধে রেখেছিলেন ইংলিশ ব্যাটারদের। তারপরও তামিমরা হেরে যান ডেভিড মালানের প্রত্যয়ী ব্যাটংয়ে। ঘূর্ণি উইকেটে ঠান্ডা মাথায় বলের লাইনে ব্যাটিং করে দলকে জয় উপহার দেন মালান দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে। অথচ পরিচিত উইকেটে সাবলীল ব্যাটিং করতে পারেননি তামিম, লিটন, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, আফিফরা। ইংলিশ পেসারদের গতি ও বাউন্সের বিপক্ষে সাবলীল ছিলেন না স্ট্রোক খেলায়। দুই ইংলিশ স্পিনার মঈন আলি ও আদিল রশিদের ঘূর্ণিতে বেসামাল ছিলেন টাইগার ব্যাটাররা। প্রতিপক্ষের বোলারদের বোলিং ছোবলে তামিম বাহিনী ১৭৫টি ডট খেলেছিলেন। বাউন্ডারি মেরেছিলেন ১৭টি এবং ওভার বাউন্ডারি ৩টি।  

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইংলিশ ব্যাটাররা রীতিমত বিধ্বস্ত করেছে টাইগার বোলারদের। বিশেষ করে করে জেসন রয়, জশ বাটলার ও মঈনরা আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করে স্পষ্ট করেছেন কেন তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। রয় ১৩২ রান করেছিলেন ১২৪ বলে ১৮ চার ও ১ ছক্কায়। ইংলিশ ব্যাটাররা এতটাই বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট চালিয়েছিলেন যে, মাত্র ১৩৫টি ডট নিতে পেরেছিল। ব্যাটিং করতে নেমে তামিম, সাকিব, লিটন, শান্তরা বেসামাল হয়েছেন স্যাম কারেনের সুইং ও রশিদের লেগ স্পিনে। ১৯৪ রানেই গুটিয়ে যায়। ৪৪.৪ ওভারের ইনিংসে তামিমরা ডট বল খেলেন ১৬৩টি। দুটি ওয়ানডে ডট বল খেলার সংখ্যা স্পষ্ট করেছে, আগামী অক্টেবর-নভেম্বরের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলতে আরও টেকনিক্যাল ও পরিকল্পিত ব্যাটিং করতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর