সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

হকির সিলেকশন কমিটি থেকেও নেই!

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হকির সিলেকশন কমিটি থেকেও নেই!

আগে না থাকলেও কয়েক বছর আগে হকি ফেডারেশনে সিলেকশন কমিটি গঠন হয়েছে। যার নেতৃত্বে আছেন সাবেক তারকা খেলোয়াড় ও অভিজ্ঞ সংগঠক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সাজেদ এ এ আদেল। সদস্য হিসেবে আছেন সাবেক তিন তারকা খেলোয়াড় কামরুল ইসলাম কিসমত, রফিকুল ইসলাম কামাল ও টুটুল কুমার নাগসহ হকির পরিচিত মুখরাই। এই কমিটির মূল কাজ হচ্ছে পারফরম্যান্স যাচাই করে ক্যাম্পে খেলোয়াড়দের ডাকা। পরে চূড়ান্ত দল ঘোষণা করে এ কমিটি। সেটা জাতীয় বা বয়সভিত্তিক হোক। সিলেকশন কমিটি ছাড়া দল ঘোষণার অধিকার কারোর নেই। হকিতে ঝামেলা তো দূর হচ্ছেই না। তবু জাতীয় বা বয়সভিত্তিক দল গঠন নিয়ম মেনেই হচ্ছিল।

এবার সে নিয়মও অনিয়মে পরিণত হলো। অনূর্ধ্ব-২১ এশিয়া কাপ বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশ এখন চূড়ান্ত পর্বে খেলার অপেক্ষায়। সিলেকশন কমিটি প্রাথমিক দল ঘোষণা করলে আবাসিক ক্যাম্প শুরু হবে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ কমিটিকে তোয়াক্কা না করে গতকাল দুপুরে হকি ফেডারেশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছিল। সাধারণ সম্পাদক একেএম মুমিনুল হক সাঈদ কোচ ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। আজই খেলোয়াড়দের রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। আগামীকাল বিমানবাহিনীর বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিতে ক্যাম্প শুরু হওয়ার কথা। কথা হচ্ছে এ সংবাদ সম্মেলনের বৈধতা আছে কিনা। সিলেকশন কমিটি যেখানে প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করল না। সেখানে মতবিনিময় সভা হয় কিভাবে?

বিস্ময় হলো এমন মতবিনিময় সভার কথা সিলেকশন কমিটির কেউই জানেন না। কমিটির চেয়ারম্যান অভিজ্ঞ সংগঠক সাজেদ আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা যেখানে খেলোয়াড়ই বাছাই করলাম না সেখানে মতবিনিময় করে ক্যাম্প ডাকা হয় কিভাবে? সিলেকশন কমিটি থাকা অবস্থায় এমন কর্মকান্ড  আমরা মেনে নিতে পারি না। কমিটি আছে অথচ অবৈধ হস্তক্ষেপ তা হকির জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলকর নয়।’

কমিটির আরেক সদস্য রফিকুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘সিলেকশন কমিটিকে পাশ কাটিয়ে এমন ঘটনায় সত্যিই আমি হতবাক। ভেবেছিলাম কমিটির চেয়ারম্যান সাজেদ ভাই বিষয়টি জানেন। যখন তিনি বললেন না আমি তো আরও অবাক হয়ে গেলাম, এভাবে যদি অপমাণিত হতে হয় তাহলে সিলেকশন কমিটি থেকে লাভ কি? টুটুল কুমার নাগও বললেন, সিলেকশন কমিটির কেউ জানে না এরপর আবার আবাসিক ক্যাম্প ডাকা হয় কিভাবে। কোচ মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমি তো আর সিলেকশন কমিটির কেউ নই। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আমাকে ডেকেছিল তাই এসেছিলাম।’

এত গেল সিলেকশন কমিটিকে পাশ কাটানোর কথা। যে সাধারণ সম্পাদকের কথা বলা হচ্ছে সেই মুুমিনুল হক সাঈদ বৈধভাবে তার পদ ফিরে পেয়েছেন কিনা তা নিয়ে তো বিতর্কের শেষ নেই। টানা তিন কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত না থাকায় তাকে তো দায়িত্ব থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়েছিল। তার অব্যাহতি কি প্রত্যাহার করা হয়েছে? তাছাড়া হকির গঠনতন্ত্র আছে ৬ মাস ফেডারেশনের কর্মকান্ড  থেকে দূরে থাকলে তার পদ শূন্য ঘোষণা হয়। এমন চিঠিতো ফেডারেশন থেকে অনেক আগেই ক্রীড়া পরিষদকে দিয়েছিল। সবচেয়ে বড় কথা সাঈদ নিজেও মামলা করেছিলেন? তা কি নিষ্পত্তি হয়েছে?

 

 

সর্বশেষ খবর