শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

সত্যিই কি অর্থের অভাব!

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, অর্থের অভাবে নারী ফুটবল দল মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাই পর্ব খেলতে যেতে পারছে না।  আসলেই কি তাই?

বাংলাদেশ পুরুষ জাতীয় ফুটবল দল কিছুদিন আগে দেশের মাটিতে ফুটবল সিরিজ খেলার জন্য ঘটা করে সৌদি আরবে গিয়ে ক্যাম্প করে এলো। খেলতে নেমে দুই ম্যাচের সিরিজ ড্র করল ১-১ ব্যবধানে। অন্যদিকে কয়েক মাস আগে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেছেন সাবিনা খাতুনরা। বহু বছর পর ফুটবল নিয়ে মেতেছিল পুরো দেশ। এই মেয়েরা অলিম্পিকের বাছাই পর্বটাই খেলতে পারল না! মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাই পর্বে বাংলাদেশ মুখোমুখি হতো ইরান, মালদ্বীপ ও স্বাগতিক মিয়ানমারের। দারুণ সুযোগ ছিল বাছাই পর্বের প্রথম পর্বটা পাড়ি দিয়ে দ্বিতীয় পর্বে খেলার। কিন্তু পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগটাই তো পেলেন না সাবিনা খাতুনরা। নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ।

মিয়ানমারে খেলতে যেতে হবে নিজস্ব অর্থায়নে। এ তথ্যটা বাফুফে কি আগে থেকে জানত না? জেনে থাকলে সেই ব্যবস্থা করা গেল না কেন? অনেকে অনেক কথা বলছেন ফুটবলপাড়ায়। কিন্তু সদিচ্ছা থাকলে সাবিনা খাতুনরা নিশ্চয়ই মিয়ানমারে গিয়ে খেলার সুযোগ পেতেন! নারী ফুটবলেও বর্তমানে অর্থ কম নয়। লিগ নিয়মিত মাঠে গড়াচ্ছে। ফুটবলাররা কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা পাচ্ছেন। হাল আমলে ঘটা করে নারী ফুটবলের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের ঘোষণাও এসেছে। সেখানেও থাকছে প্রচুর অর্থের হাতছানি। এত কিছুর পর সত্যিই অর্থের অভাবে খেলা হলো না অলিম্পিক বাছাই পর্ব!

১৯৫০ সালে ভারত বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তারা সেই টুর্নামেন্টে খেলতে পারেনি। অর্থের অভাবই নাকি বড় কারণ ছিল। সেই বিশ্বকাপে অংশ নিলে ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসটা ভিন্নভাবেই হয়তো লেখা হতো! বাংলাদেশের মেয়েরা অলিম্পিকের বাছাই পর্ব খেলতে পারলে চূড়ান্ত পর্বের পথও হয়তো খুলে যেত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর