সাদা বল ও রঙিন পোশাকে শক্তিমত্তায় আয়ারল্যান্ড থেকে বেশ এগিয়ে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজে প্রমাণিত। যদিও শেষ টি-২০ ম্যাচ হেরেছে টাইগাররা। তারপরও শক্তি ও সামর্থ্যে এগিয়ে সাকিব, তামিম, লিটন, তাসকিনরা। ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ জয়ের পর ক্রিকেট বিশ্লেষকরা ভেবেছিলেন, ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে টিম ম্যানেজমেন্ট। অনেকেই ভেবেছিলেন, টেস্টে বিশ্রাম দিয়ে আইপিএল খেলতে সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসকে এনওসি দেবে বিসিবি। কিন্তু ক্রিকেট বোর্ড সে পথে হাঁটেনি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচে মাঠে পূর্ণ শক্তির দল নামাচ্ছে। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাকিব ও লিটনকে নিয়ে খেলতে নামছে টাইগাররা। আগামীকাল মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সাদা পোশাক ও লাল বলে দুই দল প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলবে। দুই দল এই প্রথম টেস্ট ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে। টেস্ট ম্যাচকে সামনে রেখে গতকাল মিরপুর ক্রিকেট একাডেমি মাঠে অনুশীলন করেছে টাইগাররা। অনুশীলন করেননি টেস্ট অধিনায়ক সাকিব।
আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সে শুরু থেকে খেলার জন্য সাকিব ও সহঅধিনায়ক লিটন এনওসি চেয়েছিলেন বিসিবির কাছে। ২৪ দিনের এনওসি দিয়েছে বিসিবি। কিন্তু টেস্ট খেলার শর্ত জুড়ে দেয় বিসিবি। সেই শর্তে আগামীকাল শুরু টেস্ট খেলবেন সাকিব ও লিটন। এনওসি না পাওয়ার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন টাইগার টেস্ট ও টি-২০ অধিনায়ক সাকিব, ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ড যখন জানতে চায় কবে থেকে খেলতে পারব, পুরো সময় অ্যাভেইলেবল আছি কি না। সে সময় এনওসির মতোই আসলে ওদের জানিয়ে দেওয়া হয় কবে থেকে কবে পর্যন্ত খেলতে পারব। সেখানে লেখা ছিল- আমাদের যখন আন্তর্জাতিক কমিটমেন্ট থাকবে তখন বিসিবি অ্যালাউ করবে না। সেভাবে বিসিবি করেছে, ওভাবেই আমরা এনওসি পেয়েছি।’ সাকিব ও লিটন এনওসি পেয়েছেন ৮ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত।