বাংলাদেশের ফুটবলে টালমাটাল অবস্থা। পুরুষ জাতীয় দলের মান নিচেই নামছে। এ নিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের হতাশা থাকলেও ক্ষোভ ছিল না। কেননা ২০০৮ সালে কাজী সালাউদ্দিন বাফুফের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সংকটাপন্ন অবস্থা কাটছে না। এখন ঘৃণা ধরে গেছে দেশের ফুটবলে অভিভাবক সংস্থা বাফুফের ওপর। যার এখনো নেতৃত্বে রয়েছেন সালাউদ্দিনই। ফিফা দুই বছর নিষিদ্ধ করেছে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে। বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি তদন্ত করে প্রমাণ পেয়েছে তারা যে ফান্ড দেয় তা স্বচ্ছভাবে ব্যয় হয়নি। বড় ধরনের দুর্নীতি করেছে। প্রধান নির্বাহী দায়িত্বে ছিল বলে আপাতত শুধু সোহাগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ অনিয়মের সঙ্গে ফেডারেশনের অন্য কেউ জড়িত আছে কি না তা তারা তদন্ত করে দেখছে। সন্দেহের তালিকায় নাকি প্রভাবশালী দুই কর্মকর্তা রয়েছেন। বাংলাদেশের ফুটবল এখন এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যে, ২০০২ সালের মতো বাফুফেকে নিষিদ্ধ করার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ২০০২ সালে বাংলাদেশ নিষিদ্ধ হয়েছিল অগণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচিত কমিটি ভেঙে দেওয়ার জন্য। এবার হতে পারে দুর্নীতির দায়ে।
ফিফা থেকে পরবর্তী সময়ে কী ঘোষণা আসবে এ নিয়ে অস্থিরতায় দিন কাটাচ্ছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। এ অবস্থায় যারা দেশের হয়ে মাঠে লড়বেন তাদের মানসিক অবস্থা কী হতে পারে? তবু আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশের মেয়েরা। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশ আজ খেলবে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে। রবিবার গ্রুপের শেষ ম্যাচ স্বাগতিক সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। তিন দলের মধ্যে যারা শীর্ষে থাকবে তারাই পরবর্তী রাউন্ডে খেলবে। নারী জাতীয় দল নিয়েও কম কাহিনি করেনি বাফুফে। অর্থ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে সাবিনাদের খেলতে দেওয়া হয়নি অলিম্পিক বাছাই পর্বের মতো বড় টুর্নামেন্টে। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।