বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

কোটানের পর কি কাবরেরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কোটানের পর কি কাবরেরা

বাফুফের নানা বিতর্কিত কান্ড নিয়ে ঝড় থামছেই না। সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও অস্থিরতার মধ্যে দিন পার করছেন। সব থেমে যেতে পারে যদি সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। তা কি সম্ভব? ২০০৯ সালের পর বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল খেলতে পারেনি। গ্রুপ পর্ব খেলেই বিদায় নিচ্ছে লাল-সবুজের দল। ২১ জুন বেঙ্গালুরুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পর্দা উঠবে। এবারের আসর বাংলাদেশের জন্য আরও কঠিন বলা যায়। গ্রুপেই বড় চ্যালেঞ্জ নিতে হবে জামাল ভূঁইয়াদের। লেবানন ও কুয়েত এবার সাফে আসায় ট্রফি দক্ষিণ এশিয়ায় থাকবে কি না সংশয় রয়েছে।

লেবানন আবার খেলবে বাংলাদেশের গ্রুপে। মালদ্বীপ ও ভুূটানও রয়েছে এই গ্রুপে। লেবানন ও মালদ্বীপকে টপকে সেমিতে খেলা কঠিনই। তারপর আবার ভুটানকেও ফেলে দেওয়া যাবে না। যাক, ভালো করার লক্ষ্য নিয়ে বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায় জাতীয় দলের অনুশীলনও শুরু হয়েছে। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার পরই সাফ চ্যালেঞ্জে নামবে বাংলাদেশ। যে কোনো সময় ২৩ সদস্যর চূড়ান্ত দলও গঠন হয়ে যাবে। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই প্রথম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। খুব কম কোচ আছেন টানা দুই সাফে বাংলাদেশের দায়িত্ব পালন করেছেন। শিরোপা জেতাতে পারলে এটা নিশ্চিত, কাবরেরা সামনের সাফ পর্যন্ত টিকে যাবেন। গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলে কাবরেরারও বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে। জাতীয় দলে এটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয় তাহলে তো কাবরেরা মহানায়ক বনে যাবেন। জর্জ কোটানের পর কাবরেরা হবেন দ্বিতীয় কোচ, যিনি বাংলাদেশকে সাফ জেতাবেন। বেঙ্গালুরু কাবরেরার জন্য সত্যিই অগ্নিপরীক্ষা!

বাংলাদেশ জাতীয় দলে বড় শিরোপাগুলো এসেছে বিদেশি কোচের মাধ্যমে। ১৯৯৫ সালে মিয়ানমারে চ্যালেঞ্জ কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় অটোফিস্টারের প্রশিক্ষণে। ১৯৯৯ সালে নেপালে সাফ গেমসে সোনা  জেতে সামির সাকিরের কোচে। ২০০৩ সাফ ফুটবলে জর্জ কোটান ও ২০১০ সালে এসএ গেমসেও বিদেশি কোচ শিরোপা জেতায় অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে। কাবরেরা পারবে কি সেই তালিকায় নাম লেখাতে?

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর