রবিবার, ১১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট

সাকিবের অভাব পূরণ করবে কে

ব্যাটিংয়ে মুশফিক বোলিংয়ে তাইজুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাকিবের অভাব পূরণ করবে কে

তাইজুল বাঁহাতি স্পিনার। তাকেই বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হবে। অবশ্য মিরাজকেও দায়িত্ব নিতে হবে -হাবিবুল বাশার সুমন, নির্বাচক

টেস্ট খেলতে ঢাকায় পা রেখেছে হাশমতউল্লাহ শাহিদীর নেতৃত্বে আফগানিস্তান। ১৪-১৮ জুনের টেস্ট খেলতে প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ। লিটন দাসের নেতৃত্বে টাইগাররা উঠে গেছেন টিম হোটেলে। মাঠে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং করছেন টাইগার ক্রিকেটাররা। নিয়মিত টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাচ্ছেন রানিং ও জিম করে। আঙুলের ইনজুরির জন্য অবশ্য মিরপুরের টেস্ট খেলছেন না সাকিব। বাঁহাতি বিশ্বসেরা স্পিন অলরাউন্ডার এর আগেও অনেক টেস্ট ম্যাচ খেলেননি। তার অভাব পূরণ করতে সে সময় হিমশিম খেতে হয়েছে নির্বাচক প্যানেলকে। এবারও ঘাম ছুটে গেছে নির্বাচকদের। সাকিবের ব্যাটিং ও বোলিং এবং নেতৃত্বের অভাব পূরণ করতে অনেক বেশি সময় ব্যয় করতে হয়েছে মিনহাজুল আবেদীন নান্নুদের। নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে ড্যাসিং ক্রিকেটার লিটনের হাতে। ব্যাটিংয়ে নিয়েছে তরুণ শাহাদাত হোসেন দীপু এবং বোলিংয়ে তরুণ পেসার মুশফিক হাসানকে। যদিও দুই তরুণের অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলেন নির্বাচক প্যানেলের অন্যতম সদস্য হাবিবুল বাশার সুমন, ‘দুই তরুণের অভিষেকের বিষয়ে এখনই কিছু বলা ঠিক হবে না।’ সুতরাং স্কোয়াডের অন্য ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে দায়িত্ব নিতে হবে সাকিবের অভাব পূরণ করতে।

দলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল এবং মিডল অর্ডারে মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক। এ ছাড়াও রয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন। ওপেনার তামিম ভুগছেন ব্যাক পেইনে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ৭০ টেস্টের ১৩৪ ইনিংসে ৩৮.৮৯ গড়ে রান করেছেন ৫১৩৪। সেঞ্চুরি ১০ ও হাফসেঞ্চুরি ৩১টি। সাকিব ব্যাটিং করেন মিডল অর্ডারে। মিডল অর্ডারে রয়েছেন লিটন ছাড়াও মুশফিক এবং মুমিনুল হক। মুশফিক রয়েছেন দারুণ ছন্দে। ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে ১২৬ ও ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি। ৮৫ টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৫৭ ইনিংসে ৩৮.৪৪ গড়ে মুশফিক রান করেছেন ৫৪৯৮। সেঞ্চুরি ১০ এবং হাফসেঞ্চুরি ২৬টি। সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল ব্যাটিং করেন ৩ ও ৫ নম্বর পজিশনে। তিনি দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার। ৫৬ টেস্টের ১০৪ ইনিংসে ৩৯.০৭ গড়ে রান করেছেন ৩৬৫৫। সেঞ্চুরি ১১ ও হাফসেঞ্চুরি ১৬টি। লিটন ৩৮ টেস্টের ৬৬ ইনিংসে ২৩১৯ রান করেছেন। এই তিন ক্রিকেটারের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। নির্বাচক হাবিবুল বাশার অবশ্য মুশফিকুর রহিমকেই দায়িত্ব বেশি নিতে হবে বলেন, ‘সাকিবের অভাব পূরণে সিনিয়র ক্রিকেটারদের দায়িত্ব নিতে হবে। দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিক। তাকেই দায়িত্ব নিতে হবে। আরেক ক্রিকেটার মুমিনুলকেও দায়িত্ব নিতে হবে।’ সাকিব ৬১ টেস্টে ৩৯.০৭ গড়ে রান করেছেন ৪৪৫৪।

বোলিংয়ে বাংলাদেশের মূল ভরসা সাকিব। তার পরিসংখ্যান এমনটাই বলে। ৬৬ টেস্টে ২৪৬২.৩ ওভার বোলিং করে উইকেট নিয়েছেন ২৩৩টি। দেশের একমাত্র বোলার হিসেবে দুই শর ওপর উইকেট নিয়েছেন তিনি। তার অভাব পূরণ করতে বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হবে আরেক বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে। দেশের একমাত্র স্পেশালিস্ট টেস্ট স্পিনার তাইজুল ৪১ টেস্টে উইকেট নিয়েছেন ১৭৫টি। মেহেদী মিরাজ ৩৮ টেস্টে উইকেট নিয়েছেন ১৪৮টি। বোলিংয়ে সাকিবের অভাব পূরণ করতে হবে এই দুই স্পিনারকে বলেন বাশার, ‘তাইজুল বাঁহাতি স্পিনার। তাকেই বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হবে। অবশ্য মিরাজকেও দায়িত্ব নিতে হবে।’

ব্যাটিংয়ে মুশফিক, মুমিনুল এবং বোলিংয়ে তাইজুল ও মিরাজকে দায়িত্ব নিতে হবে পুরোপুরি। তারপরও সাকিবের অভাব পরিষ্কারভাবেই ফুটে উঠবে মাঠে।

 

 

সর্বশেষ খবর