বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

সাফ যেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাফ যেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ

অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে। কদিন পরই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পর্দা উঠবে। ২১ জুন ভারতের বেঙ্গালুরুতে বসবে এ আসর। বিশ্বকাপ ফুটবল এলেই বাংলাদেশের ক্রীড়ামোদীরা আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে নিয়ে মেতে ওঠেন। যে উত্তেজনা তাতে মনে হয় বাংলাদেশই খেলছে। অথচ দুনিয়া কাঁপানো এই আসরে লাল সবুজের দল কখনো খেলতে পারবে, এটা যেন স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। মানের চরম অবনতি ঘটায় সাফই যেন বাংলাদেশের কাছে বিশ্বকাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতেরও একসময় এমন অবস্থা ছিল। কিন্তু সাফল্য সহজভাবে ধরা দেওয়ায় তাদের কাছে সাফের তেমন গুরুত্ব নেই। তারা আরও সামনে এগোনোর জন্য নানা পরিকল্পনা নিয়েছে। ক্রিকেটের মতোই ফুটবলকে তারা গুরুত্ব দিচ্ছে। মালদ্বীপের কাছেও সাফ অনেকটা গুরুত্বহীন। তারাও একাধিকবার শিরোপা জিতেছে। বাংলাদেশের মান এতটা খারাপ ছিল না যে সাফকেই বিশ্বকাপ মনে হবে। কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতা ও মাঠে খেলোয়াড়দের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়ন হবে, এখন তা কেউ বলতে সাহস পায় না। ২০০৩ সালে একবারই সাফে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। মানের অবনতি ঘটায় ২০০৯ সালের পর বাংলাদেশ আর সেমিফাইনালই খেলতে পারেনি। গ্রুপ পর্ব খেলেই বিদায়। প্রশ্ন হচ্ছে, এবার কি তার ব্যতিক্রম ঘটবে? নাকি ২০ বছর পর হারানো গৌরব উদ্ধার করবে? সত্যি বলতে কি, বাংলাদেশর গ্রুপে লেবানন ও মালদ্বীপ থাকায় জামাল ভূঁইয়াদের সেমিফাইনালই কঠিন হয়ে পড়েছে। বেঙ্গালুরুতে নামার আগে বাংলাদেশ আজ ফিফা স্বীকৃত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে। প্রথম দফায় যেতে না পারলেও বিশ্বনাথ ঘোষ ও ঈসা ফয়সাল গতকাল কম্বোডিয়ায় পৌঁছেছেন। পূর্ণশক্তি নিয়ে বাংলাদেশ আজ মাঠে নামবে। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রীতি হলেও আমাদের কাছে ম্যাচের গুরুত্ব অনেক। খেলোয়াড়দের মধ্যে যে ভুলত্রুটি আছে তা শুধরিয়ে সাফে নামা যাবে। জয় পেলে আমাদের আত্মবিশ্বাসটাও বেড়ে যাবে।’ সাফের আগে বাংলাদেশের স্বস্তির খবরও আছে। যে লেবাননকে জামালরা ভয় পাচ্ছেন, সেই দল হিরো কন্টিনেন্টাল কাপে দুর্বল মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে ড্র করেছে। সুতরাং ভালো খেলতে পারলে ভয়কে জয় করা সম্ভব।

সর্বশেষ খবর