রবিবার, ১৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেরা জুটি কিংসের রবসন ডরিয়েলটন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সেরা জুটি কিংসের রবসন ডরিয়েলটন

ঘরোয়া ফুটবলে চলতি মৌসুম এখনো শেষ হয়নি। তবে আকর্ষণ আর নেই। পেশাদার লিগ, ফেডারেশন ও স্বাধীনতা কাপের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেছে। লিগে কারও দুই বা তিনটি করে ম্যাচ বাকি আছে। তবে তা আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া কিছু না। মৌসুমটা বসুন্ধরা কিংসের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ৭৫ বছরের ইতিহাসে তারাই একমাত্র দল হিসেবে লিগে টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অভিষেক থেকে কোনো দলই এ কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি। ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডানও তৃপ্তি নিয়ে মৌসুম শেষ করতে চলেছে। ১৪ বছর পর তারা জনপ্রিয় আসর ফেডারেশন কাপের শিরোপা ফিরে পেয়েছে। ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা আবাহনীকে হারিয়েছে। অবশ্য নয় বছর আগে ঘরোয়া ফুটবলে শেষ শিরোপা জিতেছিল সাদা-কালোরা, ফাইনালে ফেনী সকারকে পরাজিত করে। তবে অনেক দিন পর মোহামেডান-আবাহনীর ফাইনাল হওয়ায় মৌসুমটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

সব শিরোপা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। তবে গুরুত্ব রয়েছে ব্যক্তিগত গোল নিয়ে। যে কোনো দেশের ফুটবল লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া গৌরবের। পেশাদার লিগ মাঠে গড়ানোর পর একবার ছাড়া বিদেশি ফুটবলাররা সেরা গোলদাতা হয়েছেন। এবারও তা শতভাগ নিশ্চিত বলা যায়। আশপাশে কোনো স্থানীয় খেলোয়াড় নেই। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন বসুন্ধরা কিংসের ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ডরিয়েলটন গোমেজ। এখন পর্যন্ত ১৮ ম্যাচে তিনি এক হ্যাটট্রিকসহ সর্বোচ্চ ১৮ গোল করেছেন। বাকি দুই ম্যাচে সংখ্যাটা কোথায় দাঁড়ায় তা দেখার বিষয়। দ্বিতীয় স্থানে আছেন মোহামেডানের আলোচিত স্ট্রাইকার মালির সুলেমান দিয়াবাতে। দুই হ্যাটট্রিকসহ তার গোলসংখ্যা ১২। আবাহনীর কোস্টারিকার ড্যানিয়েল কলিনড্রেস এক হ্যাটট্রিকসহ ১১ গোল করে তৃতীয় স্থানে আছেন।

ডরিয়েলটন এবার ঢাকা আবাহনী থেকে যোগ দেন বসুন্ধরা কিংসে। চ্যাম্পিয়ন দলে তার অভিষেকটা হয় রাজসিকভাবে। মৌসুমের প্রথম ট্রফি স্বাধীনতা কাপে ডরিয়েলটন প্রথম ম্যাচেই ডাবল হ্যাটট্রিক করেন। লিগে এখন পর্যন্ত ১৮, স্বাধীনতা কাপে ৯ ও ফেডারেশন কাপে তার গোলসংখ্যা ৪। অর্থাৎ তিন আসর মিলিয়ে গোলসংখ্যা ৩১। এত গোলের পেছনে ডরিয়েলটনকে ধন্যবাদ দিতেই হবে স্বদেশি অধিনায়ক রবসন রবিনহোকে। ১৯৮২ সালে সালাম মুর্শেদীর রেকর্ড গড়া ২৭ গোলের পেছনে বাদল রায়ের যেমন বড় ভূমিকা ছিল, ডরিয়েলটনের ক্ষেত্রেও তাই। প্লেমেকার রবসন যেভাবে বল বানিয়ে দিয়েছেন তাতে অনেকটা টোকা মেরে জালে বল পাঠিয়েছেন ডরিয়েলটন। লিগে রবসনের গোলসংখ্যা ৯। তাতে কী, তার কাজই তো হচ্ছে গোলের পথ তৈরি করা।

ঘরোয়া ফুটবলে এবার নিঃসন্দেহে সেরা জুটি রবসন ও ডরিয়েলটন। লিগে কিংসের গোলসংখ্যা ৪৭। যেখানে ডরিয়েলটন ও রবসনের গোলই ২৭। এ জুটির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে কিংসের ইতিহাস গড়াটা অনেকটা সহজ হয়ে ওঠে। আশির দশকে মোহামেডানের দুই ইরানি নালজেগার ও বিজন তাহিরির জুটি প্রশংসিত হয়েছিল। ১৯৮৭ সালে কয়েকটি ম্যাচে অংশ নিলেও আবাহনীর বিশ্বকাপে খেলা সামির সাকি ও করিম মোহাম্মদের জুটিও চোখে পড়েছিল। কিংসে আবার রবসনের সঙ্গে আরেক ব্রাজিলিয়ান জনাথন ফার্নান্দেজ জুটিও দৃষ্টি কেড়েছিল।

 

সর্বশেষ খবর