সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

কাটছেই না হকির ঝামেলা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হকি ফেডারেশনের নির্বাচনের তারিখ আজই নির্ধারিত ছিল। তবে ভোটের আর প্রয়োজন পড়ছে না। সাধারণ সম্পাদক, পাঁচ সহসভাপতি, দুই যুগ্ম সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস করেছেন। জাতীয় ক্রীড়াপরিষদ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করলে নতুন কমিটির দায়িত্ব বুঝে পাবে। প্রশ্ন হচ্ছে এখন কি আর কাউকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করাটা আইনসংঘত হবে কি না। কেননা, এ নির্বাচনকে ঘিরে কোর্টে মামলাও গড়িয়েছে। মামলার বাদী হচ্ছেন দেশের হকির পরিচিতি মুখ সাজেদ এ এ আদেল ও জহিরুল ইসলাম মিতুল। হকি ফেডারেশন থেকে কাউন্সিলরের নাম চাওয়ার পর সাজেদ হকি ঢাকা ইউনাইটেড ও মিতুল কম্বাইড স্পোর্টিংয়ের কাউন্সিলর হিসেবে নাম পাঠান। কিন্তু তাদের বদলে দুই ক্লাবের সঙ্গে জড়িত নয় এমন দুজনকে কাউন্সিলর করা হয়। সাজেদ ও মিতুলকে কেন কাউন্সিলর করা হলো না তা লিখিতভাবে আবেদন করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রতিবাদপত্র জমা দিতে যান তারা। অথচ তারা প্রতিবাদপত্র জমা দিতে পারেননি। ক্রীড়া পরিষদে সেদিন মাস্তান প্রকৃতির কিছু লোক তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়েছিল। এ ছাড়া সেদিন রহস্যজনকভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অফিস থেকে উধাও হয়ে যান। হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল সাঈদ তাদের বাধা দিয়েছিলেন এ অভিযোগও করেন সাজেদ ও মিতুল। তবে সাঈদ তা অস্বীকার করে বলেন, ক্রীড়া পরিষদে আমার সঙ্গে সাজেদ বা মিতুল কারোর সঙ্গে দেখা হয়নি।

সাজেদ ও মিতুল পরে আইনের আশ্রয় নেন। তাদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে সেই শুনানি হয় ১৫ জুন। শুনানি শেষে চিঠি পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে সাজেদ ও মিতুলের আপত্তি গ্রহণ করে শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনকে। হকি নিয়ে ঝামেলা কাটছেই না। অবশ্য এর জন্য কমকর্তারাই দায়ী। ইচ্ছা করে তারা ঘোলাটে পরিবেশ তৈরী করেছেন।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর