শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেই ভুলেরই পুনরাবৃত্তি

ইমরুল হাসান সভাপতি, বসুন্ধরা কিংস

সেই ভুলেরই পুনরাবৃত্তি

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের গ্রুপে লেবানন পড়ায় সবাই আতঙ্কিত ছিলেন। ভেবেছিলেন মাঠে দাঁড়াতেই পারবেন না জামাল ভূঁইয়ারা। কোনো সন্দেহ নেই বাংলাদেশের তুলনায় ফুটবলে এ দেশটি যথেষ্ট্য শক্তিশালী। র‌্যাঙ্কিংয়ে ব্যবধানই তাই বলে দেয়। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল বড্ড হতাশাজনক। তাই শঙ্কিত ছিলাম বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জামাল-তপুদের হার লজ্জাজনক হয় কি না। হ্যাঁ, বাংলাদেশ উদ্বোধনী ম্যাচে ঠিকই লেবাননের কাছে হেরেছে। কিন্তু এ হারকে আমি দুর্ভাগ্যজনক বলব। শুরু থেকে বাংলাদেশ সমান তালে লড়ছিল। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে যে অগাছালো খেলা খেলেছিল। সে দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটেনি। লেবানন আক্রমণ চালালেও সোহেল রানারাও বসে থাকেননি। বেশ গুছিয়ে খেলছিলেন তারা। জাতীয় দলকে অনেক দিন পর মাঠে প্রাণবন্ত মনে হচ্ছিল। যতই ভালো খেলুক, লাভ নেই। ফুটবল গোলের খেলা। বাংলাদেশ যা পারেনি তা করে দেখিয়েছে লেবানন। জাতীয় দলের রক্ষণভাগ নিয়ে সমালোচনার শেষ ছিল না। গতকাল কিন্তু বেশ ভালোই খেলছিল। তপু, তারিক, বিশ্বজিৎরা আস্থার পরিচয় দিচ্ছিলেন। এমনকি ঘর সামাল দিয়ে তপু গোল করার চেষ্টাও করেন। আফসোস রক্ষণভাগের ভুলেই দুটো গোল হজম করতে হলো। ৮০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ গোলশূন্য ড্র। অনেকে ভেবেছিলেন ম্যাচ ড্র হবে। লেবাননের সঙ্গে ড্র করাটাও ফুটবলের দুর্দিনে কম গৌরবের নয়। অথচ হারতে হলো সেই রক্ষণভাগের ভুলে।

কোচ কাবেরা পাঁচজনকে পরিবর্তন করেন। জামাল ভূঁইয়ার পরিবর্তন ঠিকই ছিল। বোঝাই যাচ্ছিল অধিনায়ক দম ফেল করেছেন। বাকি চারজনের বদল ঠিকই ছিল। তবে ফাহিমের বদলে রাকিবকে কেন মাঠে নামানো হলো? ওর ইনজুরি তো এখনো ভালো হয়নি। যাক, হয়তো খেলার ফল অন্যরকম হতে পারত। যদি ৫৯ মিনিটে ফাহিম সুবর্ণ-সুযোগ নষ্ট না করতেন। বড় ম্যাচে এমনিতেই সুযোগ কম আসে। তারপর আবার প্রতিপক্ষ লেবানন। বাংলাদেশ লিড নিলে প্রতিপক্ষের ছন্দপতনও ঘটতে পারত। শেষের দিকে গোল খাওয়াটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এখানে খেলোয়াড়দের মনোসংযোগের অভাব রয়েছে। তারা হয়তো ভাবেন ম্যাচ তো ড্র হতেই চলেছে। আর এতেই সর্বনাশটা ডেকে আনেন। ২৫ জুন মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচ। এখানে সুযোগ হাতছাড়া মানেই বেঙ্গালুরুকে বিদায় জানানো।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর