হাই কোচ! আপনি তো একসময় পর্তুগিজ কিংবদন্তি লুইস ফিগোর সঙ্গে খেলেছেন? বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনাল নিশ্চিত করে সংবাদ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে টিম বাসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কুয়েতের কোচ রয় বেনতো। প্রশ্নটা শুনে থমকে দাঁড়ালেন। কাছে টেনে হাত ধরে সামনে এগিয়ে নিলেন। হালকা পদক্ষেপে সামনে এগোতে এগোতে বললেন, ‘সে তো বহু বছর আগের কথা।’
ফিগোর সঙ্গে খেলার স্মৃতি বলবেন কী? ‘ঠিক ৩২ বছর আগের কথা স্মরণ করিয়েছো তুমি। সে এক অসাধারণ স্মৃতি। কখনো ভুলে যাবার মতো নয়। আমি আর ফিগো এবং আরও অনেকে ছিলাম পর্তুগালের সেই দলে। ব্রাজিলের বিপক্ষে ফাইনাল খেলেছি আমরা। সে সময় ব্রাজিল কী দুরন্ত এক দল। আমরা তাদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হই। এখনো মনে হলে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। আবেগি হয়ে পড়ি।’ বলছিলেন কুয়েতের পর্তুগিজ কোচ বেনতো। ১৯৯১ সালের ৩০ জুন লিসবনে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি হন ফিগো-বেনতোরা। পর্তুগালের সেই দলে ছিলেন রয় কস্তা এবং পিন্টোর মতো তারকাও। পরবর্তীতে পর্তুগাল জাতীয় দলের হয়ে ফিগোদের সঙ্গে খেলেছেন তারা। কস্তা ৯৪টি ও পিন্টো ৮১টি ম্যাচ খেলেন। রয় বেনতো অবশ্য জাতীয় দলে খুব বেশি সুযোগ পাননি। মাত্র ছয়টি ম্যাচ খেলেছেন। ১৯৯১ সালে গ্রিসের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে। শেষ করেন ২০০১ সালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ৪-০ গোলের হারে।
একসময় পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৭ দলের কোচ ছিলেন বেনতো। ২০২২ সাল থেকে কুয়েতের দায়িত্ব নিয়েছেন নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে। এশিয়ান ফুটবলে কাজ করার অভিজ্ঞতায় তিনি বললেন, ‘ফুটবলের জন্য অনেক কিছুর প্রয়োজন। হসপিটাল, মাঠ, কোচিং স্টাফ, নিউট্রিশন ইত্যাদি আরও অনেক কিছু। ইউরোপে এসব সুবিধা অনেক ভালো। এশিয়ায় সেই তুলনায় অনেক কম। এগুলোতে থাকলে খেলার মান উন্নত হবে।’