ক্যারিয়ারে ৭৮টি ওয়ানডে খেলেছেন ইমরুল কায়েশ। অধিকাংশ ম্যাচেই ওপেন করেছেন, না হয় ওয়ান ডাউনে খেলেছেন। বাঁ-হাতি ড্যাসিং ক্রিকেটার ক্যারিয়ারের মাত্র দুটি ম্যাচে ৬ নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করেছেন। একটি আফগানিস্তান এবং অন্যটি পাকিস্তানের বিপক্ষে। পাঁচ বছর আগে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে রশিদ খানের আফগানিস্তানকে হারাতেই হতো বাংলাদেশকে। আবুধাবিতে সুপার ফোরের মহাগুরুত্বপূর্ণ ওই ম্যাচে ইমরুল খেলেছিলেন ৬ নম্বর পজিশনে। বাঁ-হাতি ওপেনারকে মিডল অর্ডারে খেলেছিলেন বিশ্বসেরা লেগ স্পিনার রশিদ খানকে সামলাতে। দায়িত্বটা বেশ ভালোভাবে পালন করেছিলেন ইমরুল।
সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল ইনজুরিতে পরে দেশে ফিরে এলে সমস্যায় পড়ে যায় টিম ম্যানেজমেন্ট। তখন অনেক চিন্তাভাবনা করে ইমরুলকে দলে নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে রশিদের ঘূর্ণি সামলাতে অপরাজিত ৭২ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছিলেন ইমরুল। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ শুরু হচ্ছে দুই দেশের তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ। এ সিরিজে ইমরুল নেই। রয়েছেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছেন বিশ্বসেরা লেগ স্পিনার রশিদ। তাকে সামলাতে ইমরুল নেই। রয়েছেন ২৫ ওয়ানডে খেলা আফিফ হোসেন ধ্রুব। তরুণ ক্রিকেটারকেই হয়তো আজ রশিদকে সামলানোর দায়িত্ব নিতে হবে। যদিও টাইগার অধিনায়ক তামিম একাদশের কথা জানাননি। তবে আগের দিন কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে জানিয়েছিলেন, আফিফকে মিডল অর্ডারেই খেলানো হতে পারে। রশিদ বিশ্বসেরা লেগ স্পিনার। বাংলাদেশের বোলিংয়ের সেরা অস্ত্র কোনো সন্দেহ নেই সাকিব। কিন্তু এ মুহূর্তে পেস বোলিং বিভাগ দারুণ পারফরম্যান্স করছে। তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমানরা প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটিং লাইন ধসিয়ে দিচ্ছেন আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে। ঈদের আগে মিরপুরে একমাত্র টেস্টে বাংলাদেশ জয় পায় ৫৪৬ রানের ইতিহাসগড়া ব্যবধানে। ওই টেস্টে টাইগার পেসাররা বিধ্বংসী মেজাজে বোলিং করেন। টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট দারুণ আত্মবিশ্বাসী পেসারদের নিয়ে। পেসারদের দাপুটে বোলিংয়ের ওপর বিশ্বাস রেখেই মিরপুরের পর চট্টগ্রামেও সবুজ ঘাসের উইকেট বানাচ্ছে। কিউরেটর চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটে সবুজ ঘাস রেখেছেন। উইকেটে ঘাস থাকার পরও টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম বিশ্বাস করেন উইকেট ব্যাটিংসহায়ক হবে, ‘চট্টগ্রামের উইকেট এখন ভিন্ন। এখানে ঘাস রেখে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হয়। দুই দলের জন্যই প্রথম ১০-১৫ ওভার কিছুটা চ্যালেঞ্জিং থাকবে। এরপর মাঝের ওভারগুলোয় এটি ঠিক হয়ে যাবে। উইকেটে ঘাস থাকলেও আমি আশা করছি ম্যাচ হাই স্কোরিং হবে।’
![](/assets/archive/images/Print-Edition/2023/July/05-07-2023/BD-Pratidin_2023-07-05-40.jpg)
চট্টগ্রামের উইকেটে বাউন্স একটু বেশি। পেসাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। এবার উইকেটের বাউন্সের সঙ্গে থাকছে ঘাস। ফলে একাদশ সাজানো হতে পারে আজ তিন কিংবা চার পেসার দিয়ে। কোন কোন পেসার খেলবেন আজ? কোচ কিংবা অধিনায়ক কেউই পরিষ্কার করে জানাননি। তবে ইবাদত, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজ ও তাসকিনকে খেলতে দেখা যেতে পারে। পেসারদের মধ্যে পারফরম্যান্সের একটি অলিখিত লড়াই রয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইছে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে পেস ব্যাটারিকে প্রস্তুত রাখতে। এজন্য তিন ম্যাচে ভিন্ন ভিন্ন কম্বিনেশনে পেসারদের খেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক, ‘আমাদের যে পেস বোলিং ইউনিট আছে, সবাই মোটামুটি ভালো করছে। হয়তো বা ওই জায়গায় একটু পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। ভিন্ন ম্যাচে ভিন্ন পেস বোলিং কম্বিনেশন নিয়ে খেলতে পারি। এটাও নির্ভর করছে কাল প্রথম ম্যাচে কেমন খেলা হয় তার ওপর। তবে এটুকু বলতে পারি, এ তিন ম্যাচে ভিন্ন পেস বোলিং কম্বিনেশন হয়তো আপনারা দেখবেন।’