মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
লিটনদের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচ

চ্যালেঞ্জের মুখে টাইগাররা

পাহাড়সমান চাপের ম্যাচে লিটন বাহিনীর মূল প্রতিপক্ষ তিন আফগান বোলার- রশিদ, মুজিব ও ফজল হক ফারুকি। তিন বোলারের সাঁড়াশি বোলিং আক্রমণে নাভিশ্বাস উঠেছে টাইগার ব্যাটারদের। সিরিজ হেরেছে বাজে ব্যাটিংয়ে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চ্যালেঞ্জের মুখে টাইগাররা

শিডিউলে অনুশীলন ছিল সকালে। কিন্তু ধূম বৃষ্টিতে অনুশীলন করেননি ক্রিকেটাররা। হোটেলে বিশ্রাম করে কাটিয়েছেন। বিশ্রামে কাটানো ক্রিকেটাররা সবাই ওয়ানডে স্কোয়াডের। অবশ্য যে কয়েকজন ক্রিকেটার অনুশীলন করেছেন, তারা সবাই আগাম প্রস্তুতি নিয়েছেন টি-২০ সিরিজের। সফরকারী আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শুরু হবে ১৪ জুলাই, সিলেটে। টি-২০ সিরিজে নামার আগে আজ চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শেষ ওয়ানডে খেলবে দুই দল। টানা দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতেছে আফগানিস্তান। আজকের ম্যাচটি হাতছানি দিচ্ছে রশিদ খান, মুজিব উর রেহমানদের ইতিহাস গড়ার। যদি জিতে যায়, তাহলে প্রথমবারের মতো টাইগারদের হোয়াইটওয়াশ করবে। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচটি আবার মানসম্মান বাঁচানোর লড়াই লিটন দাস, সাকিব আল হাসানদের। ঘরের মাঠে ২০১৪ সালের পর পুনরায় হোয়াইটওয়াশ এড়াতে জয়ের কোনো বিকল্প নেই টাইগারদের। জিততেই হবে। জিতলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াবে। পাহাড়সমান চাপের ম্যাচে লিটন বাহিনীর মূল প্রতিপক্ষ তিন আফগান বোলার- রশিদ, মুজিব ও ফজল হক ফারুকি। তিন বোলারের সাঁড়াশি বোলিং আক্রমণে নাভিশ্বাস উঠেছে টাইগার ব্যাটারদের। সিরিজ হেরেছে বাজে ব্যাটিংয়ে।

টেস্ট ম্যাচে ৫৪৬ রানের রেকর্ড গড়া জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে ওয়ানডে সিরিজে খেলতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডে বাধাগ্রস্ত হয় বৃষ্টিতে। ৪৩ ওভারের কার্টেল ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান করে টাইগাররা। ম্যাচটি খেলেছিলেন তামিম ইকবাল। বৃষ্টি আইনে ম্যাচটি ১৭ রানে হেরেছিল টাইগাররা। ওই ম্যাচের পর হুট করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম। অবশ্য পরের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে অবসর প্রত্যাহার করে নেন। তামিমের পরিবর্তে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই টাইগারদের নাস্তানাবুদ করে আফগানরা। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৩৩১ রান করে আফগানিস্তান। ৩৩২ রানের টার্গেটে ১৮৯ রানে গুটিয়ে যায় লিটন বাহিনী। টাইগারদের গুটিয়ে দেন রশিদ, মুজিব ও ফজল।

দুই ম্যাচে দুর্বোধ্য হয়ে ওঠেন তিন বোলার। শুরুতে ফজল ফারুকির সুইংয়ে নাকাল হন। এরপর ঘূর্ণিতে পুরোপুরি বিধ্বস্ত করেন রশিদ তার ‘মায়াবী’ লেগ স্পিন ও মুজিব তার ‘রহমস্যময়’ অফ স্পিনে। দুই স্পিনারকে খেলা কঠিন বলেই সিরিজে নাকাল হচ্ছে টাইগাররা, গতকাল অনুশীলনের ফাঁকে টাইগারদের সহকারী কোচ নিক পোথাস এমনটাই বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণ বিশ্বসেরা। দলটিতে এমন তিনজন স্পিনার (রশিদ, মুজিব ও নবী) আছেন, যারা বিশ্বজুড়ে সাদা বলের ক্রিকেটে অনেক ম্যাচ খেলেছেন। যে কোনো অধিনায়কের জন্য এটি স্বপ্ন। যার হাতেই বল তুলে দেওয়া হয়, সে কাজটা করে দেয়। তারা অসাধারণ।’

সিরিজে আফগানিস্তানের তিন বোলার এখন পর্যন্ত উইকেট নিয়েছেন ১৫টি। ফারুকি ৬, মুজিব ৫ ও রশিদ ৪ উইকেট নেন। দুই স্পিনার উইকেট নিয়েছেন ৯টি। সিরিজের পারফরম্যান্সের বিচারে রশিদ ও মুজিবকে টাইগার সহকারী কোচ পোথাস তুলনায় এনেছেন দুই কিংবদন্তির স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন ও শেন ওয়ার্নকে। ‘সবাই কি ওয়ার্ন, মুরালিধরনকে পড়তে পারত? না। এ কারণেই তারা বিশ্বসেরা। এ জন্যই টুর্নামেন্টগুলোতে রহস্য স্পিনারদের পেছনে এত বেশি টাকা খরচ করে। তার মানে বিষয়টা এমন নয়, আমরা তাদের খেলতে পারছি না। আসলে পুরো বিশ্বই পারছে না।’

 

 

 

সর্বশেষ খবর