শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্পিন দুর্গ ভাঙতে পেস মন্ত্র

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান প্রথম টি-২০

ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্পিন দুর্গ ভাঙতে পেস মন্ত্র

স্পিননির্ভর আফগানিস্তানকে আটকাতে পেসারদের দিকে বাড়তি নজর বাংলাদেশের। গতকাল সিলেটে মুস্তাফিজ-শরিফুলদের টিপস দিচ্ছেন কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে

শেষ ওয়ানডেতে সাকিব, লিটন, শরিফুল, তাসকিনরা পাত্তাই দেননি আফগানিস্তানকে। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই রশিদ, মুজিব, নবীদের বিধ্বস্ত করেছেন। দুরন্ত জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে আজ সিলেটে টি-২০ মিশন শুরু করছে সাকিব বাহিনী। দুই ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথমটি আজ মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা ৬টায়। দ্বিতীয়টি শুরু হবে একই সময় ১৮ জুলাই। সিরিজকে সামনে রেখে গতকাল অনুশীলন করেছেন বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটাররা যখন অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন অধিনায়ক সাকিব ও কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে তখন উইকেট পর্যবেক্ষণ করেন। টাইগারদের দুই থিঙ্কট্যাঙ্ক বুঝতে চেষ্টা করেছেন উইকেটের চরিত্র। কারণ, প্রতিপক্ষ দলে টি-২০ র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশের তিন বোলার রয়েছেন। যদিও মিডিয়ার মুখোমুখিতে টাইগার অধিনায়ক সাকিব প্রতিপক্ষ দলের দুই স্পিনার রশিদ খান ও মুজিব উর রেহমান এবং বাঁ হাতি পেসার ফজলহক ফারুকিকে নিয়ে আলাদা কোনো পরিকল্পনার কথা বলেননি, ‘কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি বা কাউকে নিয়ে আমরা চিন্তা করছি না। আমাদের দলও একজন ব্যাটসম্যান বা বোলারের ওপর নির্ভরশীল নয়। আমরা দলীয়ভাবে পারফর্ম করি। আমরা যখন নির্ভার থাকি, কীভাবে ভালো করা যায়, সেই চিন্তা করি, নিজেদের জায়গা থেকে সবাই ১০-২০ শতাংশ উন্নতির চেষ্টা করি, তখনই দল ভালো পারফর্ম করে। আমরা যখন নার্ভাস থাকি, প্রতিপক্ষ নিয়ে বেশি চিন্তা করি, কন্ডিশন নিয়ে বেশি ভাবি, তখনই পারফর্ম করতে পারি না।’

কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি বা কাউকে নিয়ে আমরা চিন্তা করছি না। আমাদের দলও একজন ব্যাটসম্যান বা বোলারের ওপর নির্ভরশীল নয়। আমরা দলীয়ভাবে পারফর্ম করি।

শেষ ওয়ানডেতে অসাধারণ এক মাইলফলক গড়েছেন সাকিব। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০- তিন ক্যাটাগরির ক্রিকেটে ১৪ হাজার রান ও ৬০০ উইকেট নেওয়ার বিরল রেকর্ড গড়েছেন। আঙুলের ব্যথায় টেস্ট মিস করেছেন তিনি। ওয়ানডে খেলেছেন। এখন টি-২০ সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন। টেস্ট ম্যাচে ৫৪৬ রানের ইতিহাসগড়া জয় পায় বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজ হেরে যায় ২-১ ব্যবধানে। এখন টি-২০ সিরিজ খেলবে। পরিসংখ্যানের হিসাবে আফগানিস্তান এগিয়ে। ৯ ম্যাচে ৬টিতে জিতেছে দলটি। ৩টি জিতেছে বাংলাদেশ। দুই দল এবার নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সিরিজ খেলবে। দুই দেশ প্রথম সিরিজ খেলে ২০১৮ সালে। ভারতের দেহরাদুনে তিন ম্যাচের সিরিজে আফগানিস্তান হোয়াইটওয়াশ করেছিল টাইগারদের। আফগানরা ম্যাচগুলো জিতেছিল ৪৫ রান, ৬ উইকেট ও ১ রানে। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় সিরিজে মিরপুরে ২৫ রানে জিতেছিল আফগানিস্তান। চট্টগ্রামে ৪ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা আনে টাইগাররা। দুই দল প্রথম টি-২০ ম্যাচ খেলে ২০১৪ সালে। মিরপুরের ম্যাচটি টাইগাররা জিতেছিল ৯ উইকেটে। সর্বশেষ মুখোমুখি হয় গত আগস্টে। এশিয়া কাপের ওই ম্যাচে ৭ উইকেটে জিতেছিল আফগানিস্তান। গত বছর মার্চে তিন জাতির টুর্নামেন্টে দুই খেলায় পরস্পরের প্রতিপক্ষ হয়েছিল দুই ম্যাচে। দুই দলই একটি করে ম্যাচে হেসেছিল।

সিলেটে স্পিনারদের তুলনায় বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন পেসাররা। কিন্তু টাইগারদের মূল প্রতিপক্ষ দুই আফগান স্পিনার রশিদ ও মুজিব এবং পেসার ফারুকি। তিন বোলারই আবার টি-২০ র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দশে। রশিদ এক নম্বর, দুই নম্বরে ফজল এবং ৯ নম্বরে মুজিব। তিন বোলারই আবার দারুণভাবে সফল টাইগারদের বিপক্ষে। টাইগারদের বিপক্ষে টি-২০তে রশিদ ও মুজিব যৌথভাবে উইকেট নিয়েছেন ২৭টি।

 

সর্বশেষ খবর