শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফাইনালে ওঠার লড়াই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে সৌম্য সরকার, অধিনায়ক সাইফ হাসান, জাকির হাসান, মাহামুদুল হাসান জয়, মোহাম্মদ নাইমদের। জাতীয় দলের এসব ক্রিকেটার নিয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দল খেলছে ইমার্জিং এশিয়া কাপে। আট দলের এ টুর্নামেন্টে সাইফের নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলেছে ‘এ’ গ্রুপে। ৩ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্স আপ হয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় সাইফ বাহিনী। গ্রুপ থেকে শীর্ষ দল হিসেবে সেমিতে খেলছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। ‘বি’ গ্রুপ থেকে সেমিফাইনাল খেলছে দুই প্রতিবেশী ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। টুর্নামেন্টের আজ দুটি সেমিফাইনাল। রানাসিংহে প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৩ জুলাই রবিবার। আজ শ্রীলঙ্কান সময় দুপুর আড়াইটায় রানাসিংহে প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে শক্তিশালী ভারত ‘এ’ দলের মুখোমুখি হবে বাংলদেশ ‘এ’। অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় পি সারা স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ‘এ’।

সাইফ বাহিনী আসর শুরু করে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। হাই স্কোরিং ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে যায় ৪৮ রানে। আভিস্কা ফার্নান্দোর সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৪৯ রান করে স্বাগতিকরা। ৩৫০ রানের টার্গেটে সাইফ বাহিনী থেমে যায় ৩০১ রানে। দলের পক্ষে অধিনায়ক সাইফ ৫৩, তানজিদ হাসান ৫১, সৌম্য ৪২ রান করেছিলেন। প্রথম ম্যাচ হারের ধাক্কা সামলে পরের দুই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ‘এ’ দল। মধ্যপ্রাচ্যের দল ওমানকে পাত্তাই দেয়নি। ৮ উইকেটের পাহাড়সমান ব্যবধানে হারায়। তানজিম আহসান সাদ, মাহামুদুল হাসান জয়, রাকিবুল হাসানদের আগ্রাসী বোলিংয়ে ৪৬ ওভারে ১২৬ রান করে ওমান। বাঁ-হাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাইমের ৪২ বলে অপরাজিত ৪৭ ও তানজিদ হাসানের ৪৯ বলে ৬৮ রানে ভর করে ৩৩.৩ ওভার হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘাম জড়িয়ে জয় পায় সাইফ বাহিনী। প্রথমে ব্যাট করে মাহামুদুল জয়ের সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৮ রান করে বাংলাদেশ। জয় ১০০ রানের ইনিংসটি খেলেন ১১৪ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায়। জাকির হাসানও করেন ৬২ রান। জবাবে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮৭ রান করে। গ্রুপ পর্বে বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ ‘এ’।

গোটা আসরে দারুণ ক্রিকেট খেলছে ভারত। গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোতে প্রতিপক্ষ দলগুলোকে পাত্তাই দেয়নি। ব্যাটিং ও বোলিং- উভয় বিভাগে প্রতিপক্ষকে দুমড়েমুচড়ে দিয়েছে। প্রথম ম্যাচে মরুদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারায় ৮ উইকেটে। আমিরাতের ৯ উইকেটে ১৭৫ রান টপতে যায় ২৬.২ ওভারে। অধিনায়ক ইয়াশ ধুল ৮৪ বলে খেলেন ১০৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে উড়িয়ে দেয় ৯ উইকেটে। ম্যাচটিতে ভারতে দুই ওপেনার শাই সুদর্শন ও অভিষেক শর্মার জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ২৭.৫ ওভার হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ভারত। সুদর্শন অপরাজিত ৫৮ ও অভিষক ৮৭ রান করেন। চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে ভারত। এবার সেঞ্চুরি করেন বাঁ-হাতি ওপেনার শাই সুদর্শন। ১০৪ রানের অপরাজিত ইনিংসটি খেলেন ১১০ বলে।

ইমার্জিং কাপের ফাইনালে খেলতে কঠিন লড়াই করতে হবে সাইফ বাহিনীকে। প্রতিপক্ষ হিসেবে রিপন মণ্ডল, মেহেদি হাসান, তানজিন হাসান সাকিব, রাকিবুলদের লড়াই করতে হবে শাই সুদর্শন, অভিষেক ধুল, নিকিন জোশদের বিপক্ষে। নাঈম, জাকির, সাইফ, মাহামুদুল জয়, সৌম্যদের লড়াই করতে হবে রাজবর্ধন হাংগ্রিকারের গতি ও সুইংয়ের বিপক্ষে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর