শিরোনাম
শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ওয়ানডে নেতৃত্বে তামিমনামা

বিসিবি পরিচালকদের অধিকাংশই চাইছেন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো বড় দুটি আসরে সাকিব দেশকে নেতৃত্ব দিক। কাজে লাগাক তার অভিজ্ঞতা।

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ওয়ানডে নেতৃত্বে তামিমনামা

তামিম ইকবালের অধিনায়কত্বের অধ্যায় শেষ। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করেছিলেন হার দিয়ে। শেষও করেছেন হেরে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর টাইগারদের অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয়েছিল কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। অধিনায়ক হিসেবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষবার টস করেন চট্টগ্রামে। সব মিলিয়ে তিনি টাইগারদের পক্ষে সাদা বল ও রঙিন পোশাকে টস করেছেন ৩৭ বার। জিতেছেন ২১ বার। যা শতাংশের হারে ৬০। দেশের ১৫ জন ওয়ানডে অধিনায়কের মধ্যে শতাংশের হারে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক তামিম। যদিও সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। যার নেতৃত্বে টাইগাররা জিতেছে ৮৮ ম্যাচে ৫০টি। পরশু বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের উপস্থিতিতে ওয়ানডে নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন তামিম। ওই ঘোষণায় চিরকালীন সমাপ্তি ঘটেছে তামিমের অধিনায়কত্বের অধ্যায়। এখন তাহলে টাইগারদের দায়িত্ব কে নেবেন? আলোচনায় রয়েছে তিনজনের নাম- সাকিব আল হাসান, লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

দুবাই ও লন্ডনে চিকিৎসা করতে যাওয়ার সময় গুঞ্জনটা ডালাপালা মেলেছিল। লন্ডনে পিঠের ডিস্কে দুটি ইনজেকশন দিয়ে দেশে ফেরার পরও গুঞ্জন থেমে ছিল না। এশিয়া কাপের ক্যাম্পে যোগ না দিলে গুঞ্জনটা বরং শক্ত ভিত পায়। সেই গুঞ্জনের সমাপ্তি নিজেই টেনেছেন তামিম। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে এক ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর মিডিয়ার মুখোমুখিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে ওয়ানডে নেতৃত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে ওয়ানডে খেলা চালিয়ে যাবেন। বাঁ-হাতি ড্যাসিং ওপেনার চাইছেন শতভাগ ফিট থেকে অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপ খেলতে। কিন্তু সুযোগ পাবেন তো? নেতৃত্ব ছাড়ার পর ফিটনেস কিংবা পারফরম্যান্সের অজুহাতে জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ার উদাহরণ রয়েছে। মাশরাফি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর আর সুযোগ পাননি জাতীয় দলে।

তামিম ওয়ানডে নেতৃত্ব ছেড়েছেন। এশিয়া কাপ খেলবেন না। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ এবং ভারতে বিশ্বকাপ খেলবেন কি না, নিশ্চিত নয়। তবে তিনি নেতৃত্ব ছাড়ার পর আলোচনায় উঠে এসেছে টাইগারদের পরবর্তী অধিনায়ক কে? বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, ‘এখনই অধিনায়কত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। সবার সঙ্গে আলোচনা করে দলের যেটা ভালো হবে, সেটাই করবেন। হয়তো এশিয়া কাপের স্কোয়াড ঘোষণার সময় অধিনায়কের নাম জানিয়ে দেবে ক্রিকেট বোর্ড। টাইগারদের নেতৃত্বের এ তালিকায় রয়েছে সাকিব, লিটন ও নাজমুল শান্তের নাম। তবে অনভিজ্ঞতার জন্য হয়তো নাজমুল শান্ত থাকছেন না। তাহলে নেতৃত্বের তালিকায় রয়েছেন সাকিব ও লিটন। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ তিন ফরম্যাটেই দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে সাকিবের। তিনি এ মুহূর্তে দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার। দেশ সেরা ক্রিকেটার ৫০ ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে জয় উপহার দিয়েছেন ২৩ ম্যাচে। শতাংশের হারে সাফল্য ৪৬.৯৩। তিনি এখন টেস্ট ও টি-২০ অধিনায়ক। বিসিবি পরিচালকদের অধিকাংশই চাইছেন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো বড় দুটি আসরে সাকিব দেশকে নেতৃত্ব দিক। কাজে লাগাক তার অভিজ্ঞতা। অনেকে আবার চাইছেন লিটনকে। তাদের মতে, এখন থেকে ভবিষ্যতের কথা ভেবে লিটনকে নেতৃত্ব দেওয়া হওক। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০-তিন ফরম্যাটে তিনি টাইগারদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার অধিনায়কত্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে ইতিহাসগড়া জয় পায় বাংলাদেশ। তিনি দুটি ওয়ানডে সিরিজের অধিনায়ক ছিলেন। তার নেতৃত্বে ২০১৫ সালের পর ভারতকে ওয়ানডে সিরিজে হারায় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দুটি ম্যাচে নেতৃত্ব দেন। একটি করে জয় ও হারের স্বাদ নেন। ৫ ওয়ানডেতে জয় ৩টি এবং হার বাকি দুটি।

সর্বশেষ খবর