শিরোনাম
শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

অবশেষে বিসিবির স্বস্তি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অবশেষে বিসিবির স্বস্তি

সাকিব আল হাসান আবারও ওয়ানডে নেতৃত্ব ফিরে পেয়েছেন। এ নিয়ে চতুর্থবার দায়িত্ব পেলেন দেশসেরা ক্রিকেটার। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে সাকিবকে অধিনায়ক ঘোষণা করেছেন, ‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে সাকিবকে অধিনায়ক করা হয়েছে। বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের দল আগামীকাল ঘোষণা করা হবে। আপাতত এশিয়া কাপের ১৭ জনের দল দেবেন নির্বাচকরা।’ এর ফলে দেশসেরা ক্রিকেটার নেতৃত্ব দেবেন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে। সাকিব এখন টেস্ট, ওয়ানডে টি-২০; তিন ফরম্যাটেই অধিনায়ক। বাংলাদেশের ক্রিকেট ফের এক অধিনায়ক চক্রে ফিরেছে। সাকিব দ্বিতীয় টাইগার অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার নেতৃত্ব দেবেন। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার প্রথমবার বিশ্বকাপে অধিনায়ক ছিলেন ২০১১ সালে। ২০১৫ ও ২০১৯-টানা দুটি বিশ্বকাপে অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। সাকিব পুনরায় দায়িত্ব ফিরে পেয়েছেন তামিম ইকবালের সরে দাঁড়ানোয়। ইনজুরির সঙ্গে পেড়ে না উঠে তামিম ৩ আগস্ট ওয়ানডে নেতৃত্ব ছেড়ে দেন। আজ এশিয়া কাপের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করবে ক্রিকেট বোর্ড। ৩০ আগস্ট শুরু এশিয়া কাপের ১৭ সদস্যের দল ঘোষণার শেষ দিন আজ। অধিনায়কত্বের আলোচনায় ছিলেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সর্বশেষ আফগানিস্তান সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে নেতৃত্বে ছিলেন লিটন।

অধিনায়ক হিসেবে তামিম ছিলেন বিসিবির প্রথম পছন্দ। বিশ্বকাপে তামিমকে অধিনায়ক রেখেই সব পরিকল্পনা কষেছিল ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু পিঠের ব্যথার সঙ্গে লড়াই করে পেড়ে ওঠেননি দেশসেরা ওপেনার। শতভাগ সুস্থ হতে দুবাই ও লন্ডনে পিঠে দুটি ইনজেকশনও দেন। তারপরও বাঁ-হাতি ড্যাসিং ওপেনার আত্মবিশ্বাসী হতে পারেননি মাঠের লড়াইয়ে নামার। বিসিবি সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে দায়িত্ব ছেড়ে দেন। সরে দাঁড়ান এশিয়া কাপ থেকেও। অবশ্য বিশ্বকাপ খেলার প্রত্যাশা জানান তামিম। তার সরে দাঁড়ানোর পর টাইগারদের নতুন অধিনায়ক ঘোষণা দিতে এক সপ্তাহ সময় নিয়েছে বিসিবি। ৮ আগস্ট, মঙ্গলবার পরিচালকরা জরুরি বৈঠকে বসে বিসিবি সভাপতিকে দায়িত্ব দেন অধিনায়ক নির্বাচনে। বিসিবি সভাপতি গতকাল সাকিবকে অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা দেন। বিসিবি সভাপতির ঘোষণার পর বাঁ-হাতি স্পিন ওপেনার এখন তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক। তবে তাকে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য দায়িত্ব দেয়নি ক্রিকেট বোর্ড, জানান বিসিবি সভাপতি, ‘ওর সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদের অধিনায়কত্বের ব্যাপারে আলোচনা হয়নি। ও দেশে এলে বলতে পারব। দীর্ঘ মেয়াদে ওর পরিকল্পনাটাও জানতে হবে।’

এক সময় তিন ফরম্যাটে একজন অধিনায়কই দায়িত্ব পালন করতেন। কিন্তু ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে নেতৃত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়। প্রায় নয় বছর পর পুনরায় তিন ফরম্যাটে একজন অধিনায়কের দেখা পেল টাইগাররা। তারপরও সংশয় রয়ে গেছে। দেশে ফেরার পর সাকিবের সঙ্গে তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা বলবেন বিসিবি সভাপতি, ‘একসঙ্গে তিনটা ওর ওপর বোঝা হয়ে যাবে। কাজেই ওর সঙ্গে কথা বলে নিতে হবে। ওর সঙ্গে কথা না বলে কিছু বলাটা এখন কঠিন। একে তো ও দেশের বাইরে, তার ওপর একটা দলের হয়ে খেলছে। ওখানে ওরও কিছু ব্যস্ততা রয়েছে। সে জন্য ওকে বেশি ডিস্টার্ব করতে চাইনি।’ সাকিব প্রথমবার ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেন ২০০৯ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নেতৃত্বের অভিষেক হয়েছিল। ২০১১ সালে নেতৃত্ব হারান। ২০১৫ সালে পুনরায় দুটি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেন। এরপর আবার দায়িত্ব হারান। ২০১৭ সালে তৃতীয়বারের মতো দায়িত্ব পালন করেন এক ম্যাচে। এবার পেলেন চতুর্থবারের মতো। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৫০টি ওয়ায়ডেতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। টাইগাররা জয় পায় ২৩টিতে। সাফল্য ৪৬.৯৩ শতাংশ। শতাংশের হারে তারচেয়ে বেশি সাফল্য রয়েছে মাশরাফির। দুইয়ে তামিম। মাশরাফির নেতৃত্বে ৮৮ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৫০টি। সাফল্যের হার ৫৮.১৩ শতাংশ। তামিমের নেতৃত্বে ৩৭ ম্যাচে টাইগাররা জিতেছে ২১টি। সাফল্যের হার ৫৬.৭৫ শতাংশ।

সর্বশেষ খবর